সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : গঙ্গাসাগর তটের ভাঙন রুখতে ৯ কোটি টাকা খরচ করে আধুনিক টেট্রাপট পদ্ধতিতে বাঁধ মেরামতি করা হবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধ মেরামতি সহ মেলার পরিকাঠামো তৈরির সব কাজ শেষ করতে হবে। নতুন বছরের শুরুতেই গঙ্গাসাগর মেলা। ইতিমধ্যে মেলা ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এবারের মেলায় রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন। সেজন্য সব ক্ষেত্রে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন-দার্জিলিংয়ে প্রকাশ্যে ধূমপানে এবার জরিমানা, জারি হল নির্দেশিকা
ইতিমধ্যে মন্ত্রী, জেলাশাসক ও মেলা পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত পয়লা নভেম্বর থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের মুড়িগঙ্গা ও নামখানার চেমাগুড়িতে বেণুবন পয়েন্টে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সেচ দফতর এই কাজ করছে। ব্যয় ধরা হয়েছে কুড়ি কোটি। শুক্রবার সকালে মেলার প্রস্তুতি ও দফতরের কাজকর্ম সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে এলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বেলা দশটা নাগাদ কচুবেড়িয়া হয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছন। সঙ্গে আছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সেচ দফতরের প্রধান সচিব সহ পদস্থ আধিকারিকরা। এদিন প্রথমে লঞ্চে করে বেণুবন পয়েন্টের কাজকর্ম ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এখানে কয়েকটি অস্থায়ী জেটিও পরিদর্শন করেন। পরে চলে আসেন গঙ্গাসাগর মেলা মাঠে। কপিলমুনি মন্দিরের সামনে ২ নম্বর রাস্তা বরাবর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন-স্বচ্ছতায় বিশেষ উদ্যোগ
তটের ভাঙন আটকানোর জন্য আধুনিক টেট্রাপট পদ্ধতিতে বাঁধ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মেলা শুরুর আগেই সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের থেকে বাঁধ নির্মাণের সর্বশেষ অগ্রগতি জেনে নেন মন্ত্রী ও জেলাশাসক। প্রস্তুতি নিয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানালেন,‘‘পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। একাধিক বৈঠক হচ্ছে। সাগরতট নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। বাঁধ নির্মাণ সহ বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এই কাজ চলছে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।’’