শীতের বেড়ানোর প্রস্তুতি

শীত এলেই বাঙালির পায়ে সরষে। তাঁদের ভ্রমণপিপাসু মন বেড়ানোর আনন্দে নেচে ওঠে। আর শীত ভ্রমণে ব্যাগের ওজন যে বেশি হবে তা বলাই বাহুল্য। ডেস্টিনেশন বাছাই থেকে হোটেল বুকিং, ব্যাগপ্যাক, কীভাবে নেবেন প্রস্তুতি লিখলেন তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক 

Must read

এসে গেছে বহু প্রতীক্ষিত শীত। আর শীত মানেই নরম ওম, কমলালেবু রঙা উষ্ণতা আদর জড়ানো মিঠেল পরিবেশ। বাসে ট্রামে চড়তে ক্লান্তি নেই, গা জবজবে ঘামে ভেজা নেই, অল্পতেই ক্লান্তি নেই, সাজগোজ নিয়ে চিন্তা নেই। বরং সব থেকে রঙিন ঝলমলে পোশাকটা আলমারির কোণ থেকে বের করে পরার মহার্ঘ সময় এটা। উৎসব, পার্বণ মেলা সর্বোপরি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সময় এটা। চরৈবেতি।
শীতের হাওয়া শুধু কি আমলকির ডালে নাচন লাগায় ভ্রমণপিপাসুর মনও নেচে ওঠে। মিঠে রোদ পিঠে নিয়ে বেড়াবার উৎসাহ এই সময় দ্বিগুণ, চতুর্গুণ হয়ে যায়। স্কুল কলেজে ছুটি পড়বে। অনেকেই এই সময় বেড়ানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। বাঙালির কাছে শীত ভ্রমণের প্রস্তুতি খুব সহজ নয় কারণ সারাবছর ধরে পচা গরম আর ঘাম-জবজবে হয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে শীতকাল কোথায় গেলে ভাল হবে সেই আইডিয়াটাই থাকে না। সবার খুব ঠান্ডা জায়গা সহ্য নাও হতে পারে আবার যেখানে ঠান্ডা নেই গরম সেখানে গিয়েও লাভ নেই বিশেষ। শীতকালে বেড়ানো মানেই সব বিষয় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এখন টিকিট কাটতে হয় অনেক দিন আগে থাকতেই। কোথায় যাচ্ছেন সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও হতে হবে পারফেক্ট। কারণ প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে ভ্রমণ কতটা আনন্দদায়ক হবে। শীতের বেড়ানোর প্রস্তুতি নিতে গেলে কোন কোন দিক মাথায় রাখবেন।
ডেস্টিনেশন
বেড়াতে যাওয়ার আগেই প্রথমেই জায়গার কথা ভাবতে হবে। শীতকালীন ভ্রমণে কোন জায়গাগুলো উপযুক্ত সে-কথা মাথায় রেখে তবেই টিকিট বুকিং করা উচিত। যদি অফিসের কাজের চাপে সেই সময়টা না পেয়ে থাকেন তাহলে একটু সহজ ডেস্টিনেশন বাছুন যেখানে যেতে অনেক আগে টিকিট কাটতে হয় না বা ফ্লাইটে যাওয়া যেতে পারেন। শীতে পাহাড় যেমন কনকনে ঠান্ডা বেশি হাই অল্টিচিউডে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হতে পারে তাই এগুলো বুঝে তবে জায়গা নির্ধারণ করুন।
হোমওয়ার্ক করে নিন
যাওয়ার আগে জায়গাটা সম্পর্কে একটা হোমওয়ার্ক করে নিন। কতদিনের জন্য যাচ্ছেন, সেখানের সুযোগ-সুবিধা কেমন রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সব ব্যবস্থা, পরিষেবা, সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা সেখানে পাওয়া যাবে কি না জেনে নিন। অবশ্যই ভাল করে সেখানকার আবহাওয়ার খোঁজখবর নিতে হবে। স্নোফল হয়
কি  না, বৃষ্টি কীরকম হয় এসব চিন্তা-ভাবনা আগে থেকে করা থাকলে বেড়ানোর ক্ষেত্রে পোশাক-আশাক বা অন্য কিছুর প্ল্যানিং করা খুব সুবিধাজনক হয়ে যায়। কী কী অসুবিধে হতে পারে সেগুলো দেখে নিন।
অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপ
সবাই যে নিছক আনন্দভ্রমণেই যান তা নয়। অনেকেই আছেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ। হয়তো চাঁদের আলোয় পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করবেন। সেখানে ইলেকট্রিসিটি নেই। তাহলে আপনাকে সঙ্গে  কী কী নিতে হবে সেই বিষয়ে মাথায় একটু চিন্তাভাবনা রাখতে হবে। দেখে নিতে হবে কোন সমস্যায় পড়লে লোকাল জায়গা থেকে কী সাহায্য পাবেন।
বাজেট
যে কোনও জায়গায় বেড়ানোর  জন্য সবার প্রথমে আপনার মাথায় রাখতে হবে বাজেট কত।
সাগর, পাহাড়, বন, নদী— ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ, সঙ্গে কারা যাচ্ছে, যেখানে যাবেন সেখানে সুযোগ-সুবিধা কেমন। কোন মাধ্যমে অর্থাৎ কিসে যাচ্ছেন, ভ্রমণে পরিবহণ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বছরে এক-আধবার বেড়াতে যাচ্ছেন কমফোর্ট বা আরামের সঙ্গে আপস নাই-বা করলেন। একটু ঝামেলা-মুক্ত জার্নি করুন। পয়সা বাঁচাতে নিরাপত্তা বা আরামের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করবেন না। ট্রেন এবং ফ্লাইটের টিকিটের মধ্যে এখন আর খুব বেশি ফারাক নেই।
অনেক সময় ডিসকাউন্ট থাকে বুকিংয়ে একটু খেয়াল রাখুন। খুব বেশি জার্নি করতে হবে তিনদিন যেতেই লাগবে এমন জায়গার বাজেটটাও একলাফে অনেকটা বেড়ে যায় সেই সঙ্গে অর্ধেক এনার্জি জার্নিতেই শেষ হয়ে যায়।
ব্যাগপ্যাক
পোশাক ও আনুষঙ্গিক শীতকালে যেখানেই বেড়াতে যান  প্রথমেই লাগবে যথাযথ শীত-পোশাক। কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন তার ওপর কী শীত-পোশাক, জামাকাপড় নেবেন কতটা পরিমাণ নেবেন তা নির্ভর করবে। শীতে যাঁরা পাহাড়ে যাওয়া পছন্দ করেন, মনে করেন শীতে বেড়ানোয় পাহাড় সবচেয়ে ভাল তাঁদের মাথায় রাখতে হবে পাহাড়ি এলাকায় অন্যান্য জায়গায় তুলনায় ঠান্ডাটাও বেশ জাঁকিয়ে বসে।
তাই পাহাড় বা হাইঅল্টিচিউডে ঘুরতে গেলে কম ওজনের গরম কাপড় নেওয়া দরকার। শীতকালে গাঢ় রঙের মোটা তাপ নিরোধক কাপড় নির্বাচন করুন।
সমুদ্র বা কম ঠান্ডা জায়গায় গেলে মোটামুটি মানের শীতের পোশাকেই কাজ চলে। মাফলার, মোজা, হাত-মোজা, টুপি দু-তিন সেট করে নিন। কারণ পাহাড়ি ঠান্ডায় অনেক সময় বৃষ্টি পড়ে তাই ভিজে গেলে আর এক সেট থাকলে অসুবিধা হবে না। যাই নিন ভিতরে পরার জন্য থার্মোকট সেট নিতে ভুলবেন না। জুতোর ক্ষেত্রেও সাধারণ স্যান্ডেল বাদ দিয়ে কেটস, বুট বা স্নিকার নিলে কিন্তু ধুলো বা ঠান্ডা থেকে সহজে পা রক্ষা পাবে।
টুথপেস্ট, ব্রাশ, টুপি, মাফলার— সবকিছুর একটা একটা করে তালিকা তৈরি করুন এবং টিক চিহ্ন দিয়ে একে একে ব্যাগে ভরুন। এতে দরকারি কোনও কিছু ভুলে ফেলে যাবেন না। জলের বোতল, টয়লেট পেপার, মশা তাড়ানোর স্প্রে, ফোন ব্যাগ, ফ্লাস্ক, টর্চলাইট, থ্রি পিন প্লাগ ও কনভার্টার, ছুরি-দড়ি বা সুতো, মাস্ক, ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাঙ্কের কার্ড, ভ্রমণের টিকিট, ফোনের চার্জার, পাসপোর্ট-ভিসা, কোভিডের ভ্যাকসিনের কাগজ ও অন্যান্য কাগজপত্র গুছিয়ে নিন।
 এ-সবের সবকিছুই সব জায়গায় দরকার হবে না। তাই আপনার ভ্রমণের জায়গার ভিত্তিতে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস নেবেন।
জুতো, কসমেটিক্স ও জামাকাপড় সব আলাদা আলাদা প্যাক করলে জায়গা সংকুলান হবে এবং এলোমেলো হবে না জামাকাপড়। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় যখন-তখন বৃষ্টি নামে। সেই জন্য ছাতা, রেনকোট, টর্চ বা ইমার্জেন্সি আলো (ব্যাটারি চালিত) এগুলো নিলে নিরাপদে আনন্দ-ভ্রমণ হবে।
বুকিং
শীতকালে বেশিরভাগই বন্ধু-বান্ধব, পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে ভালবাসেন। ভ্রমণের পিক সিজন হল শীত আর শীতের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে তাই সবকিছুর দাম বেড়ে থাকে। তাই খুব পর্যটক সমাগম হয় এমন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে আগে থেকে হোটেল, লোকাল গাড়ি বুকিং করে নেওয়াই শ্রেয়। নাহলে গন্তব্যে পৌঁছে সেখানকার হোটেল, গাড়ি বুকিং করতে গেলে নাজেহাল হবেন এবং খরচ বেড়ে যাবে একলাফে অনেকটা। যে যা পারবে পিক সিজনে লাভ তুলবেন তাই পরিস্থিতির শিকার হবেন না। সঙ্গে ছোট বাচ্চা বা বয়স্ক সদস্য থাকলে তো কথাই নেই। অনেকটাই সতর্ক থাকতে হবে এইসব বিষয়ে।
খাবারদাবার
শীতকালে বেড়াতে গেলে ব্যাগে শুকনো খাবার ভরে নিন। অনেকে বিদেশেও বেড়াতে যান। বিদেশে হোটেলে থাকার কস্ট অনেক তাই অনেক জায়গাতেই সেখানে ফ্ল্যাট রেন্টে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে তখন শুকনো খাবার, নুডলস, বিস্কিট, কেক, চিঁড়ে, মুড়ি— এগুলোই কাজে আসবে। যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার লোকাল খাবার এক্সপ্লোর করতে পারেন। তবে অবশ্যই হাইজিন ফ্যাক্টরটা মাথায় রাখবেন। খুব অচেনা-অজানা খাবার নিয়ে এক্সপেরিমেন্টে যাবেন না। নিজে রেঁধেবেড়ে খেলে খরচ কম সেক্ষেত্রে লোকাল মার্কেটটা একটু ঘুরে বুঝে নিন। দরকারে লোকাল গাইডের সাহায্য নিন। শীতের জায়গায় এমন খাবার খান যা শরীরকে গরম রাখবে এবং জলের চাহিদা পুরণ করবে। গরম সুপ, হট চকোলেট ঠান্ডায় শরীরকে আরাম দেয়। তবে দেশের বাইরে যেখানে তীব্র শীত সেখানে ফ্যাট-যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা যাচাই করে নিন।
আরও পড়ুন-
মেক-আপ কিট
যেখানেই যান না কেন মহিলারা থাকলে মেক-আপ কিট থাকবে না সঙ্গে এটা অসম্ভব। শীতে ঘুরে বেড়াবার জন্য আবহাওয়া যথেষ্ট ভাল থাকলেও ত্বকের উপর দিয়ে অন্যান্য ঋতুর মতোই প্রকৃতির নীরব অত্যাচার চলতে থাকে। এই সময় একটু ধুলোময়লা বাড়ে। সেই জন্য কিটে রাখুন ক্লেনজার, স্ক্রাবার, ময়েশ্চারাইজার। খুব বেশি ঠান্ডার জায়গা হলে ভারী ক্রিম সঙ্গে রাখুন। এছাড়া ফাউন্ডেশন, কমপ্যাক্ট যদি ব্যবহার করেন রাখুন। মুখে যত ভারী কোটিং থাকবে ত্বক পুড়বে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কম। সময় পেলেই একটা ছোট টিস্যু দিয়ে মুখ-হাত পরিষ্কার করে নিন। এছাড়া পেট্রোলিয়াম জেলি, লিপজেল, হ্যান্ড অ্যান্ড ফুট ক্রিম রাখুন। শীতের রোদ খুব আরামদায় লাগলেও তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। অন্য জায়গার আবহাওয়া আপনার পরিচিত নয় তাই সানগ্লাস এবং বেশি এসপিএফ-যুক্ত সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
ওষুধপত্র
একা হন বা দল বেঁধে যেভাবেই ঘুরতে বেরন না কেন জরুরি ওষুধপত্র যেন মিস না হয়। অচেনা আবহাওয়া, খাওয়াদাওয়া শরীরকে বিব্রত করতেই পারে। সামান্য মাথাব্যথা বা যে কোনও শারীরিক অসুবিধে, জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি, ডায়েরিয়া যা-ই হোক, বেড়ানোর আনন্দটাই মাটি। তাই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ভরে নিন।
যাঁদের নিয়মিত প্রেসার-সুগারের ওষুধ খেতে হয় বা ইনসুলিন নিতে হয় সেগুলো পরিমাণমতো নিয়ে নিন। এছাড়া ব্যান্ড এইড, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, পরিমাণমতো তুলো ও গজ সঙ্গে রাখবেন। বেড়ানোর সময় বেশি তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন শরীরের উপর অত্যাচার করবেন না।
কিছু ছোটখাটো টিপস 
  শীতকাল ট্রেকিংয়ের জন্য আদর্শ সময়। অনেকেই বেড়াতে গিয়ে ট্রেক করেন। শুকনো আবহাওয়া ট্রেকিংয়ের জন্য উপযোগী। নতুন নতুন জায়গা আবিষ্কার এই সময় সুবিধাজনক। কিন্তু দুর্গম জায়গায় ট্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে শীতকালে অবশ্যই সব সময় সঙ্গে হালকা ওজনের মালপত্র, আগুন জ্বালাবার ব্যবস্থা, শীত প্রতিরোধক স্লিপিং ব্যাগ সঙ্গে রাখুন।
  শীতকালে খুব কুয়াশা থাকে ফলে রাতে এবং ভোরের রাস্তায় বেরনোটা সবসময় নিরাপদ থাকে না। দূরপাল্লার ভ্রমণের ক্ষেত্রে খুব রাত বা ভোরের সময় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
  জলের বোতল সবসময় সঙ্গে রাখুন। শীতে জল কম খাওয়া হলে বিশেষ করে বেড়ানোর সময় ডি-হাইড্রেশন হতে পারে। হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে তাই ছোট ছোট বোতল রাখুন শেষ হলে পথে ভরে ফেলুন।
  শীতে বেড়াতে গিয়ে সময় শিশু বা বয়স্ক সদস্যদের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। বাচ্চার জামা-কাপড় বড়দের তুলনায়  বেশি নিন এবং বয়স্ক মানুষটির হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে সঙ্গে ইনহেলার অবশ্যই নিতে হবে।
  যে জায়গায় যাবেন সেখানকার ফোন নাম্বার, লোকেশন-এর তথ্য সংগ্রহে রাখুন। যেমন নিকটস্থ থানা-পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশের হেল্প নাম্বার, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র ব্যাঙ্ক ইত্যাদি।
  শীতের সন্ধের পর অথবা বেশি রাত পর্যন্ত হোটেলের বাইরে থাকবেন না। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করতে গেলে পরিবারের নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রাখুন।
  যানবাহন থেকে নামার সময় কোনও মালপত্র ফেলে গেলেন কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন। মানিব্যাগ, ক্রেডিট কার্ড সাবধানে রাখবেন। সব টাকা মানিব্যাগে না রেখে কিছুটাকা অন্য জায়গায় রাখবেন। কার্ড ও ব্যাগে আপনার ঠিকানা লিখে রাখবেন। এতে হারিয়ে গেলেও ফেরত পাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
  বেড়ানোর আগে কোথায় যাচ্ছেন, কোন হোটেল সম্ভব হলে জানিয়ে যান পরিচিত মানুষজনকে। যাতে প্রয়োজনে খোঁজখবর নিতে অসুবিধা না হয়।
  শীতকালে অনেক জায়গাতেই রাতে নিঝুম হয়ে যায়। সেই সুযোগে বাড়ে চুরির ঘটনা। বাড়ি ফাঁকা রেখে বেড়াতে গেলে স্থানীয় থানায় জানিয়ে যান। ইদানীং প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের বেশ কিছু সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সিকিউরিটি গার্ড রেখেও বেড়াতে যেতে পারেন।
  যে কোনও ভ্রমণের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে অত্যুৎসাহী হয়ে অকারণে কোনও ঝুঁকি নিয়ে ফেলবেন না। বেড়ানোর সময় কোনও দুর্গম জায়গার ছবি তুলতে গিয়ে অথবা সমুদ্রে বা পাহাড়ের ওপরে উঠতে গিয়ে অকারণে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।

Latest article