বিয়ের পরেই ২০১৩ সালে তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন। সেই বছরই পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়ে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণ, মিষ্টভাষী, সর্বদা হাসিমুখ ও বক্তব্য রাখার ধরনে নেতৃত্বের নজরে আসেন।
রাজনীতিতে প্রবেশ কীভাবে ?
উঃ ২০১৩ সালে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয়। রাজনীতিতে যোগ দিয়েই ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলাম। জয়ী হয়েই পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন আপনি কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন ?
উঃ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন ইংরেজ বাজার গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট পানীয় জল, সৌন্দর্যায়ন, সাবমারসিবল পাম্প, পানীয় জলাধার, গার্ডওয়াল, কালভার্ট-সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
জেলা পরিষদের প্রার্থী-তালিকায় আপনার নাম (Lipika Barman Ghosh) ঘোষণা হওয়ার পর কী অনুভূতি হয়েছিল?
উঃ খুব আনন্দ হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা বাড়িতে এসে উৎসাহ দিয়েছিল।
এবার মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ছিল, আপনার কি মনে হয়েছিল সভাধিপতি হবেন?
উঃ প্রার্থী ঘোষণার পর প্রথম কাজ ছিল নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তারপর অন্যকিছু ভাবা যাবে।
মোট ৫ জন মহিলা প্রার্থী জেলা পরিষদ আসনে জয়লাভ করেছে। এই ৫ জন আবার তফসিলি জাতি। আপনার ভাগ্যে শিখে ছিঁড়বে ভাবতে পেরেছিলেন?
উঃ এবারের জেলা পরিষদ আসনে যে পাঁচজন মহিলা প্রার্থী জয়লাভ করেছেন তাঁদের মধ্যে আমার প্রশাসনিক কাজ করার দশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই কারণে স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিলাম।
মালদহ জেলায় গঙ্গাভাঙন, পরিযায়ী শ্রমিক এর সমস্যা রয়েছে। এগুলি কীভাবে সমাধান করবেন?
উঃ গঙ্গাভাঙন প্রতিরোধের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তবুও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করে চলেছেন মালদহে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে গঙ্গাভাঙন প্রতিরোধ করার আর্জি জানাবো। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি অ্যাপ চালু করেছেন। এর ফলে উপকৃত হবে পরিযায়ী শ্রমিকেরা। ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। খেলা হবে প্রকল্পটি চালু হলেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমবে।
মালদহের অর্থকারী ফসল আম, এ নিয়ে কিছু ভেবেছেন?
উঃ মালদহের আমকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেগুলি করব।
জেলার আর কী কী উন্নয়ন করবেন?
উঃ জেলার বিভিন্ন ব্লকে রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ এছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করব।
জেলায় দুই মন্ত্রী, ৮ জন বিধায়ক, ১ সাংসদ, তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কীভাবে সকলের মন জুগিয়ে চলবেন?
উঃ উন্নয়ন ইস্যুতে সকলের মতামত নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব। দল আমাকে যে সম্মান দিয়েছে সেইজন্য আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কাজে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
কে কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন?
উঃ মালদহ জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত নেতৃত্ব কর্মী-সমর্থকেরা ও আমার শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেছেন (Lipika Barman Ghosh)।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলে ১৫ কোটি গাছ বসেছে, বনমহোৎসবে মুখ্যমন্ত্রী