প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার দূরদর্শনের অপব্যবহার

এই কারণেই সুকৌশলে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ট্যুইটের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী প্রচার করা শুরু করেছে দূরদর্শনের মতো টিভি চ্যানেলও৷

Must read

নয়াদিল্লি: বিহারের বিধানসভা ভোটের প্রথম পর্যায়ের ভোটের পরে বিজেপির চাপ এত বেড়েছে যে এবার দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগে ভাল ফলের লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে মিথ্যাচারে নেমে দেশের পাবলিক ব্রডকাস্টার দূরদর্শনকেও ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছে তারা৷ বিজেপির এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ৷ তাঁর কথায়, বিহারের অর্ধেক অংশ এখনও ভোট দিতে পারেনি৷ তার আগেই প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেছেন, এনডিএ নাকি চমত্‍কার লিড পেয়েছে৷ ভারতের অগ্রণী টিভি চ্যানেল হিসেবে দূরদর্শনের উচিত অনেক বেশি সতর্ক হওয়া৷ ভোটারদের প্রভাবিত করে এমন কোনও পদক্ষেপ না করার৷ নির্বাচন কমিশন কি নিশ্চিত করবে যে, বিহারের বিধানসভা ভোট চলার সময় মিডিয়া কভারেজের একটি সুনির্দিষ্ট স্তর থাকবে, সীমারেখা থাকবে?

আরও পড়ুন-ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে, নভেম্বরে বিহারে, দু’বার ২ রাজ্যে ভোট দিলেন বিজেপি সাংসদ

তাত্‍পর্যপূর্ণ হল, বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর বিহারের প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই মিথ্যাচার করেছেন৷ উনি দাবি করেছেন এই ১২১টি আসনের ভোটে বিহারের শাসক জোট এনডিএ বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাচ্ছে৷ কোন ভিত্তিতে এই মিথ্যাচার করছেন প্রধানমন্ত্রী, কীভাবে তিনি প্রথম দফার ভোটের শেষে বিহারে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেলেন, সেই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি নিজে অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা দেননি৷ তাঁর করা এই ট্যুইটকে হাতিয়ার করেই দূরদর্শন দাবি করেছে, বিহারের শাসক জোটই এগিয়ে থাকছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পরে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ দাবি করছে, প্রথম দফার ভোটের শেষে নিজেদের অবস্থা খারাপ বুঝতে পেরেই এখন সবদিক থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার কাজ শুরু করেছে বিজেপি এবং এনডিএ৷ এই কারণেই সুকৌশলে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ট্যুইটের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী প্রচার করা শুরু করেছে দূরদর্শনের মতো টিভি চ্যানেলও৷

Latest article