আজ, সোমবার সকাল দশটা পনেরো নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পদত্যাগের কথা জানালেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনরত পড়ুয়া এবং রাজ্যবাসীর এটাই কাম্য ছিল।’ গত কয়েকদিন ধরে তিনি এবং তাঁর পরিবারকে যেভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তাঁর সন্তানদের যে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে সেই লজ্জায় পদত্যাগ করলেন তিনি।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে যাত্রীসাথী অ্যাপে মিলবে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা
আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ ক্রমশ বাড়ছে। সোমবার থেকে কর্ম বিরতির ঘোষণা করেছে রাজ্যের সব সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এমনকি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপার বদল এবং এসিপিকে সরিয়ে দেওয়ার পর প্রিন্সিপালের রেজিগনেশন দাবি করছিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। সোমবার সকালে পদত্যাগ করলেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তিনি জানান, তাঁর মুখে কথা বসিয়ে কিছু বিরোধী গোষ্ঠী রাজনৈতিক খেলা খেলতে চাইছে। তাঁকে বারবার সরকার পক্ষের বলে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন একজন সরকারি কর্মচারী। যেভাবে অপমান আর লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে তা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষের আবেগকে সম্মান জানিয়ে স্বেচ্ছায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন-ড্রাগন ফল চাষে লাভের মুখ দেখছেন জলপাইগুড়ির কৃষক
প্রিন্সিপালের পদত্যাগের কথা জানার পর আন্দোলনরত পড়ুয়ারা বলছেন, ঘটনার ৭০ ঘণ্টা পরেও স্থানীয় অথোরিটির তরফে স্পষ্ট করে কিচ্ছু বলা হচ্ছে না। অধ্যক্ষের লিখিত ইস্তফাপত্র দেখতে চান তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা বলছেন এই ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমস্ত কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে প্রেস বিবৃতি জারি করা হবে বলে খবর।