প্রতিবেদন : ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা মালয়েশিয়ায় (Malaysia)। যাত্রীবাহী বিমান রাস্তায় আছড়ে পড়ে মারা গেলেন দুই বিমান ক্রু-সহ ১০ জন। বিমানটি ভেঙে পড়ার সময় রাস্তায় থাকা দু’জন গাড়ির চালকও নিহতদের তালিকায় রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার (Malaysia) পশ্চিম উপকূলের সেলানগর অঞ্চলের এলমিনা শহরের একটি হাইওয়ের উপরে আচমকাই আছড়ে পড়ে এক বিমান। স্থানীয় সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ৮ মিনিটে বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা জেটভ্যালেট এসডিএন বিএইচডি-র বিচক্রাফট ৩৯০ মডেলের বিমানটি ল্যাংকাউই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সুবাংয়ের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। আচমকাই মাঝআকাশে ঘটে যায় বিপত্তি। বিমানটি গন্তব্যে পৌঁছনোর খানিক আগেই সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুপুর ২টো ৫১ মিনিটে বিমান অবতরণের নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খানিক পড়েই রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি।
আরও পড়ুন-শিক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সওয়াল করে বরখাস্ত শিক্ষক
সেলানগরের পুলিশ জানিয়েছে, এলমিনা শহরের হাইওয়ের উপর থেকে ওড়ার সময়ে আচমকাই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর সেখানেই আছড়ে পড়ে বিমানটি। বিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে এক গাড়ির চালক ও একজন মোটরসাইকেল আরোহী মারা গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। বিমানের ধ্বংসাবশেষের ভিতর থেকে ছ’জন যাত্রী ও দুই বিমান ক্রুর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার আগে পর্যন্ত সেটি এদিক সেদিক নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উড়তে থাকে। তারপরেই হাইওয়ের উপর আছড়ে পড়ে গোটা বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কী করে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগের মুহূর্তেও বিমানটি থেকে কোনও জরুরি বার্তা আসেনি। তবে বিমানের ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ব্ল্যাকবক্সের ভয়েস রেকর্ডের তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে প্রশাসন।