প্রতিবেদন : ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না শিক্ষা। ইচ্ছেমতো টাকায় কখনওই শিক্ষা বিক্রি হতে পারে না। নিজেদের পছন্দমতো যেমন খুশি টাকায় শিক্ষা বিক্রি করতে পারে না বেসরকারি স্কুলগুলি। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুঝিয়ে দিল বেসরকারি স্কুলগুলির খেয়ালখুশিমতো ফি বৃদ্ধির ব্যাপারে আদালতের কড়া মনোভাবের কথা। হাইকোর্ট মনে করে, বেসরকারি স্কুলগুলির উপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ জরুরি। ফি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও রাজ্যের সম্মতি দরকার।
আরও পড়ুন-কর্মীদের ফোন কেড়ে নিয়ে গোপন বৈঠক শিলিগুড়িতে
মঙ্গলবার আদালতের এই কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন ছিল বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। লক্ষণীয়, এক শ্রেণির বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধির ব্যাপারে গভীর উষ্মা প্রকাশ করেছে রাজ্য। এই নিয়ে বারবার সতর্কবার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরাও। শেষপর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্টে। বিচারপতির বক্তব্য, বেসরকারি স্কুলগুলির বেতনকাঠামো রাজ্য সরাসরি স্থির করতে না পারলেও কোথাও বলা নেই বেসরকারি স্কুলগুলির উপর রাজ্যের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ২০১২ সালের আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে রাজ্যের সম্মতি জরুরি।