প্রতিবেদন: অদ্ভুত ব্যাপার। যুক্তি যাই সাজানো হোক না কেন, নেপথ্যে কাজ করছে অন্যভাবনা। হতে পারে ভারত বিরোধীতা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরে ভারতে ইলিশ রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুজোর মরশুমে এপার বাংলায় কোনও ইলিশ রফতানি করা হবে না। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুজো, ভাইফোটায় এবারে পাতে পড়বে না লোভনীয় পদ্মার ইলিশ। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। তবে একবারে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকতে রাজি নন অনেকেই। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, যেভাবেই হোক পুজোর মরশুমে বাজারে মিলবেই বাংলাদেশি ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ঘুরপথেই পৌঁছে যাবে সাধের ইলিশ। এবং তা সম্ভবত মায়ানমার হয়ে হয়ে ঢুকবে ভারতে। ফলে দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হলেও একেবারে নিরাশ হতে হবে না ইলিশপ্রেমীদের। দিল্লির মাছের বাজারে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে পদ্মার ইলিশ। অবশ্যই এসেছে ঘুরপথে। বিকোচ্ছে ২২০০টাকা এবং ২৪০০টাকা কেজি দরে। চিত্তরঞ্জন পার্কের এক মাছ ব্যবসায়ী জানালেন, দু’দেশের ইলিশই মিলছে এখানে। পদ্মার ইলিশ পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশের সরবরাহকারীই।
আরও পড়ুন-বেলুড় হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য হচ্ছে ডিউটিরুম
২০১৯এ দুর্গাপুজোর সময় এপারে ৫০০টন ইলিশ পাঠিয়েছিল উপহার হিসেবে। ২০২৩ এর ২১ সেপ্টেম্বর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এপারে ৯ট্রাক বোঝাই ইলিশ। প্রতিটি ট্রাকে ছিল ৫ টন করে ইলিশ। পুরোটাই বরিশাল থেকে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক দুর্গাপুজোর সময় মোট ৩৯৫০ কেজি ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল সেদেশের ৭৯ জন ব্যবসায়ীকে। কিন্তু এবারের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন তাঁদের প্রিয় ইলিশ কিনতে পারছেন না, তখন ভারতে রফাতানির অনুমতি দেব কোন যুক্তিতে? বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে রয়েছে ভারত-বিরোধী মনোভাব। এর আগেও অবশ্য তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে ২০১২ তে ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাংলাদেশ। তবে সমাধানে এগিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।