মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম: সম্প্রতি জঙ্গলমহলের নানা এলাকায় বারংবার হাতির হামলায় প্রাণ যাচ্ছে বা জখম হতে হচ্ছে স্থানীয় অধিবাসীদের। আচমকা বুনো হাতির দল খাবারের সন্ধানে সোজা ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। বেশ কিছু দিন ধরেই দলমার দাঁতালদের আনাগোনা চলছে নয়াগ্রাম ফরেস্ট রেঞ্জ, কেশররেখা রেঞ্জ, চাঁদাবিলা রেঞ্জ, মানিকপাড়া রেঞ্জ, লালগড় ফরেস্ট রেঞ্জের বেশ কিছু এলাকায়। এই সব এলাকার বহু জঙ্গলপথই নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হয় এলাকার মানুষকে।
আরও পড়ুন-আমন্ত্রণ বিতর্ক, যাবেন না সুদীপ
স্কুলের ছেলেমেয়েরাও ব্যাতিক্রম নয়। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। জেলার নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, বিনপুর, জামবনি, লালগড়, বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি থানার বহু গ্রাম জঙ্গলঘেরা। ফলে জঙ্গলপথ পেরিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে-আসতে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও। এই পরিস্থিতিতে হাতির আক্রমণ থেকে তাদের সুরক্ষায় এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিল বন বিভাগ। জানা গিয়েছে, লালগড় রেঞ্জের করমশোল, রাঙামেটিয়া, আজনাশুলি এলাকায় বর্তমানে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৩০-৩৫টি দাঁতালের দল। খড়্গপুর বন বিভাগের কলাইকুন্ডা ফরেস্ট রেঞ্জের জটিয়া, সগড়ভাঙা, হাড়িভাহা ইত্যাদি জায়গায় ঘুরছে আরও ২৫-২৮টা হাতি। এভাবে কোথাও ৩-৪, কোথাও আবার ১০-১২টার দলে ভাগ হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলমার ভয়ঙ্কর দাঁতালের দল।
আরও পড়ুন-দিলীপকে কালো পতাকা, গো-ব্যাক
জঙ্গলপথে এই সব দাঁতালদের মুখোমুখি হওয়া মানেই সাক্ষাৎ মৃত্যু। তাই নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম-সহ জেলার বিভিন্ন ফরেস্ট রেঞ্জে দু-একদিন আগে থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং স্থানীয় মানুষকে সতর্ক করতে চালানো হচ্ছে জোরদার মাইক-প্রচার। জঙ্গলপথে হাতির কারণে কোনও সমস্যায় পড়লে পরীক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের সরাসরি স্থানীয় বনকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। তার জন্য জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যোগাযোগের ফোন নম্বরও। সেই সঙ্গে বন বিভাগের বিশেষ দল ঘুরছে জঙ্গলপথে। কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। জঙ্গলমহল এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে মানুষের সুরক্ষায় সজাগ আছেন বলে জানালেন বন বিভাগের মুখপাত্র।