প্রতিবেদন : বাঘাযতীন-কাণ্ডে বিল্ডিং বিভাগের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে পুর-কমিশনারের কাছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এবার শোকজ করা হল পুরসভার দুই ইঞ্জিনিয়ারকে। তাঁদের কাজে গাফিলতি নিয়ে বুধবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি, শহরে বেআইনি বাড়ি নির্মাণের প্রবণতায় বিল্ডিং আইনেও বদল চেয়ে পুরসভার তরফে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানাগরিক।
আরও পড়ুন-বিনোদিনীতে ‘বিনোদিনী’ র প্রিমিয়ার, তৈরি ঐতিহাসিক মুহূর্ত
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মেয়র জানিয়েছেন, বেআইনি বাড়ি নিয়ে আমি মেয়র হওয়ার পর যে প্রসেস করে দিয়েছি, তা অন্য কোনও মেয়র করেননি। এই প্রসেসে নতুন করে বেআইনি বাড়ি তৈরি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সাধারণত ছোট জায়গায় বাড়ি করার ক্ষেত্রেই বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকে। এক কাঠা জমিতে বাড়ি তৈরিতে যদি চার ফুট করে ছাড় দিতে হয়, তাহলে বাড়ি হবে কীভাবে? গরিব মানুষকে সুবিধামতো সুযোগ না দিলে বেআইনি নির্মাণ বাড়বেই। তাই বিল্ডিং রুলসে বদল দরকার। তিন কাঠা পর্যন্ত জমিতে বাড়ির রেশিও অনুযায়ী ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছে।
একইসঙ্গে বাঘাযতীন-কাণ্ড নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাঘাযতীনের ঘটনায় রিপোর্ট জমা পড়েছে। আগেই বলেছিলাম, এটা ইঞ্জিনিয়ারিং ফল্ট! পুরসভার দু’জন ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ করা হয়েছে। তারা কেন দেখল না বাড়িটি হেলে রয়েছে? রোস্টার ডিউটিতে গিয়ে কেন চোখে পড়ল না এই হেলে পড়া বাড়ি? যা দেখেছেন, কেন আপলোড করেননি? পুরসভা কি বাঁশ নিয়ে হেলে পড়া বাড়ি সোজা করবে?