সুনীতা সিং, পূর্বস্থলী: ‘খালবিল আর জলাশয়ে ভরা/ রূপসী বাংলা কন্যা/ ওদের সবাই যত্ন করো/ ওরা আমাদের অনন্যা।’ লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই আবেদনই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বাংলার খালবিল, চুনোমাছ ও মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা ও একই সঙ্গে গ্রামবাংলার জলাশয়গুলিতে জীববৈচিত্র রক্ষায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকার শিবির ফর্ম ভরে দিলেন কাউন্সিলর
বৃহৎভাবে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রায় ২৩ বছর আগে রাজ্যে তিনিই প্রথম শুরু করেন খালবিল, চুনোমাছ, পিঠেপুলি ও প্রাণিপালন উৎসব। যা আজ রাজ্য জুড়ে সমাদৃত। এতেই তিনি ক্ষান্ত নন। পূর্বস্থলীর চাঁদের বিল ও বাঁশদহ বিল-সহ এলাকার একাধিক জলাশয়ে ইতিমধ্যেই মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে দেশীয় মৌরলা, পুঁটি, খয়রা, বেলে, চাঁদা, শিঙি, মাগুর, এমনকী কাঁকড়ার বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন। মাছে-ভাতে বাঙালির পাত থেকে এখন একপ্রকার উধাও হয়ে গিয়েছে এইসব দেশীয় মাছ। তাই মাসতিনেক আগে মৎস্য দফতরের কাছে পূর্বস্থলীর বিদ্যানগর গয়ারাম দাস বিদ্যামন্দিরের অধীনে থাকা প্রায় ১.৩৩ একরের এক জলাশয়ে দেশীয় মাছ বিশেষ করে চুনোমাছের প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্র করার আবেদন জানান।
আরও পড়ুন-ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ দিতে ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের নয়া উদ্যোগ, গ্রামবাংলায় বিনামূল্যে ফুটবল দেবে রাজ্য
দফতরের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র মিলেছে। মঙ্গলবার সেই জলাশয় পরিদর্শনে যান জেলা মৎস্য সহ-অধিকর্তা দিলীপকুমার মণ্ডল। স্বপন জানান, মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন বাংলার খালবিলগুলির যত্ন নিতে। যাতে এর মাধ্যমে দেশীয় মাছের প্রচুর জোগান আসে, পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা ও জীববৈচিত্রও রক্ষা পায়।