প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম-গুন্ডাদের ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে মিছিল করল ওয়েবকুপা। যেভাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে তার প্রতিবাদে মুখর হয়েছে গোটা বাংলা। এর আগে ওয়েবকুপার তরফে কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়েছে। এদিন যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকুরিয়া দক্ষিণাপণ পর্যন্ত বিশাল প্রতিবাদ-মিছিল করে ওয়েবকুপা। মিছিল থেকে বাম লুম্পেনদের বিরুদ্ধে মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বামগুন্ডা ও নকশালের আখড়ায় পরিণত হয়েছে, তাতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ সকলে।
আরও পড়ুন-ট্যাংরা-কাণ্ড : আইনজীবী চাই না বিচারককে জানিয়ে দিলেন প্রসূন
এর আগেও একাধিকবার অকারণে নেতা-মন্ত্রী এমনকী রাজ্যপালকেও হেনস্থা করা হয়েছে। সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে। এরা চায় অন্য কোনও রাজনৈতিক দল বা অন্য কোনও প্রতিনিধিত্ব যাদবপুরের বুকে থাকবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়েবকুপা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ফের তারা যাদবপুরেই তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠান ও সভা করবে। যে চরম ঔদ্ধত্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শিক্ষাবন্ধুর অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তারও তীব্র নিন্দা করেছে ওয়েবকুপা। কোনও ছাত্র বা পড়ুয়া এ ধরনের কাজ করতে পারে কি? আদৌ এরা পড়ুয়া কিনা বা এদের আসল পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে ওয়েবকুপার আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ওরা ভয় দেখিয়ে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হবে। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। যাদবপুরের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েও আমরা প্রশ্ন তুলেছি। এই নৈরাজ্যের পরিবেশ বদলাতেই হবে। এ-জিনিস চলতে পারে না। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। সেই বৈঠকে হাজির ছিল ওয়েবকুপার সদস্য-সহ সব পক্ষই। শনিবারের ঘটনা নিয়ে উপাচার্য বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।