প্রতিবেদন : বাংলা-বাঙালিকে ফের গোটা দেশের সামনে অপদস্থ করার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিজেপি। ছাব্বিশের ভোটে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির আশঙ্কায় এবার সিনেমার মাধ্যমে বিকৃত ইতিহাস প্রচার। লক্ষ্য, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে বাংলাকে অশান্ত করার অপচেষ্টা! বিজেপি ও আরএসএসের এই পরিকল্পিত চক্রান্তের বিরুদ্ধে রবিবার তীব্র প্রতিবাদ জানাল দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর নেতৃত্বে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন নতুন পন্থায় বাংলাবিদ্বেষী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় গণমঞ্চ। বিজেপি-আরএসএস যেভাবে বারবার বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে উঠেপড়ে লেগেছে, তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, হরনাথ চক্রবর্তী, অনন্যা চক্রবর্তী, সৈকত মিত্র, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সুমন ভট্টাচার্যরা। বাংলার গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করিয়ে ভিডিও বার্তায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় হওয়া দেশভাগে কি আদৌ ভারত ভাগ হয়েছিল? ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বাংলা-পাঞ্জাবের মানুষ সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছিলেন, তাঁদেরই ভাগ করা হল। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাকে বহুবার অপদস্থ করার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু পারেনি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলা ভাষাকেও অপদস্থ করার চক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাকে হেনস্থা করা আগেও সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। বিজেপি-আরএসএসের চক্রান্তে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর প্রোপাগান্ডামূলক ছবি বেঙ্গল ফাইলস-এর মাধ্যমে বাংলায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এদিন তীব্র ক্ষোভ উগরে দেয় গণমঞ্চ। সংগঠনের সাফ বক্তব্য, এই ছবি বাংলা ও বাঙালির অপমান। একটা রাজনৈতিক দলের পরিকল্পিত চক্রান্ত। গবেষণা না করে, ভুল তথ্য পরিবেশন করে একটা মিথ্যাকে ক্রমাগত গোয়েবেলসীয় কায়দায় সত্যি প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে। বিজেপির মদতপুষ্ট এই পরিচালকের ক্ষমতা থাকলে মণিপুর ফাইলস, গুজরাট ফাইলস তৈরি করুন। সত্যি কথা বলতে শিখুন, তাহলেই বোঝা যাবে আপনার বিবেক জাগ্রত। নইলে বুঝতে হবে, শুধু বিজেপির কথাতেই আপনার বিবেক জাগে, বাকি সময় ঘুমিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন- বাংলাবিদ্বেষ-ভাষাসন্ত্রাস: প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল লিগাল সেল