মণীশ কীর্তনিয়া খেজুরি: রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৭৯টি সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিষেবা রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি বদ্ধপরিকর। সোমবার ভিড় উপচে পড়া পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতেও প্রশাসনিক জনসভা ঘেকে তিন লক্ষ মানুষের কাছে এই পরিষেবা পৌঁছে দিলেন। সভা মঞ্চেও নিজে হাতে বেশ কিছু মানুষের হাতে পরিষেবা তুলে দিলেন।
আরও পড়ুন-ঋষভের না থাকার সুযোগ নিক অন্যেরা, সৌরভ বললেন
এদিন তিনি প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার ৬১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। দুয়ারে সরকার এখন আপনাদের বুথে বুথে। সকলে যাবেন। তাই আগের বাম সরকারকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার দুয়ারে সরকার বুথে-বুথে হচ্ছে। আগে লাটসাহেবের মতো কলকাতায় বসে থাকত রাজ্য সরকার। তারা গ্রামে যেত না। আমাদের সরকার আপনার বুথে এসে পরিষেবা দিচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবায় এই সরকার সর্বদা নিয়োজিত। স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো একের পর এক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জানান, আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া যেত। তবে এই নিয়মে আমরা বদল করেছি। এখন থেকে সব মহিলাই এই সুবিধা পাবেন। ৬০ বছর বয়স হলে ১ হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন, আলাদা করে বার্ধক্যভাতার আবেদন করতে হবে না। ৩ কোটি ছেলেমেয়েকে স্কলারশিপ দিয়েছি ঐক্যশ্রী প্রকল্পে। এবছর ৪০ লক্ষ পাবে। ওবিসি ছেলেমেয়েদের জন্য কেন্দ্র স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। চিন্তা নেই, রাজ্য সরকারের মেধাশ্রী পাবেন আপনারা। ১০ লক্ষ ছেলেমেয়েকে লোন দেব ভবিষ্যৎ প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা লোন পাবেন। ১০ লক্ষ টাকা করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সকলের জন্য, তফসিলি ও আদিবাসীদের জন্য এটার পাশাপাশি আরও একটা লোন রয়েছে বিদেশে পড়তে গেলে।
আরও পড়ুন-টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ, মানছেন রোহিত
সম্প্রতি চালু হওয়া ‘আপন বাংলা’ অ্যাপের কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আপনার সমস্যা জানান এই অ্যাপে, আমরা দেখে নেব কীভাবে সাহায্য করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আজ ৬৫ লক্ষ মা-বোনেরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প পেলেন, ৬৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল পাবেন, ১৭ হাজার কৃষকবন্ধু প্রকল্প পাবেন, ১৮ হাজার মানুষ খাদ্যসাথী প্রকল্প, ২৮ হাজার জনকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প, ৭ হাজারের বেশি বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, ৮ হাজারের বেশি মানুষ পেলেন কন্যাশ্রী প্রকল্প, ১৭ হাজার মৎস্যজীবী রেজিস্ট্রেশন, ৩৭ হাজার জনকে দেওয়া হল বিধবাভাতা, ১০ হাজার জনকে মুরগি ছানা বিতরণ, ৩ হাজারের বেশি মানুষকে মানবিক ভাতা দেওয়া হল। এছাড়াও কৃষি সরঞ্জাম, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, চোখের আলো চশমা, জমির পাট্টা, সংখ্যালঘু ঋণ, আর্টিজেন ক্রেডিট কার্ড, পাওয়ারটিলার, জয় জোহার, তফসিলি বন্ধু মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হল।