শ্যামল রায়, শান্তিপুর : ‘‘কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে পাব, জীবনেও ভাবিনি। বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন তাঁর সঙ্গলাভ আমার জীবনের বড় পাওনা। শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতব তাও ভাবতে পারিনি। ১৯৮৭ সালের পর থেকে এই প্রথম শাসকদলের বিধায়ক হিসেবে আমি গর্বিত। ২০১৪-য় মাত্র দু’বছরের জন্য বিধায়ক ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অজয় দে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেত্রীকে হুমকি বিজেপির
বিধানসভায় শপথ নিয়ে যতক্ষণ ছিলাম, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছি, উৎসাহিত হয়েছি। শান্তিপুরে গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকনগর চর একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপে তিনটি বুথ। ভোটার প্রায় তিন হাজার। করোনা প্রতিরোধে কোনও টিকাকরণ হয়নি। আমি প্রথম দুয়ারে টিকাকরণ কর্মসূচি নিচ্ছি, কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে কাজ।
আরও পড়ুন-Raghunathpur Employment: রঘুনাথপুরে হবে বিপুল কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ৭২ হাজার কোটি
এছাড়াও প্রথম কাজ হবে গঙ্গাভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে কথা বলব স্বাস্থ্য দফতরের সচিবদের সঙ্গে। ফুলিয়া ও শান্তিপুরে হাজার হাজার তাঁতশিল্পীর বাস। তাঁতশিল্পকে কীভাবে উন্নত করা যায়, শিল্পীরা কীভাবে আরও উপকৃত হন, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।” বললেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। নির্বাচনের আগে মানুষের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার সবটাই তিনি ধাপে ধাপে করবেন। মানুষের সঙ্গে মিথ্যাচার নয়, মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শ মেনেই কাজ করবেন বিধায়ক।