প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও বাংলার প্রাপ্য টাকা দেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। বাংলার বকেয়া তো দেয়ইনি, উপরন্তু একশো দিনের কাজও বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। চার বছর ধরে কোনও বরাদ্দ করা হয়নি। কোন অজুহাতে প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র, সেই প্রশ্ন এবার ছুঁড়ে দিল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি।
বাংলায় ১০০ দিনের (100 days of work) কাজের টাকা বন্ধ। কিন্তু গুজরাতে ৭১ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ার পরও বন্ধ হয়নি টাকা। এখন প্রশ্ন, মোদি সরকার দ্বিচারিতা চালিয়েই যাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের পর শেষ পর্যন্ত সরব হতে হল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিকেও। তারপরও ভ্রুক্ষেপহীন কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা বাংলার মানুষের ন্যায্য শ্রমের প্রাপ্য টাকা অবিলম্বে ফেরত চাই। চাই অবিলম্বে শুরু হোক একশো দিনের কাজ। এ-প্রসঙ্গে তৃণমূলের আরও প্রশ্ন, গুজরাতের মন্ত্রীর ছেলে ১০০ দিনের (100 days of work) কাজে ৭১ কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে জেলে গিয়েছে। তারপর ওই রাজ্যে ক’টা দল গিয়েছে? পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির পর কীভাবে টাকা পাচ্ছে ডাবল ইঞ্জিন গুজরাত? আর বাংলায় মাত্র ৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকার কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই জায়গায় বাংলা ৫ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ফেরত দিয়েছে। ৭৮ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরও বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। ন্যায্য প্রাপ্য বন্ধ করে রেখে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, সৌগত রায়-সহ অন্য সদস্যরা। ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। বৈঠকে কেন্দ্রের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি। তৃণমূল ছাড়াও কমিটির একাধিক সদস্যও প্রশ্ন তুললেন বাংলার টাকা আটকে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে। শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মোদি সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। এই প্রকল্পেই আগের বকেয়া-সহ বর্তমানে প্রাপ্য পৌঁছেছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকায়। কলকাতা হাইকোর্ট ১ অগাস্ট থেকে কাজ চালুর নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের মোদি সরকার নীরব। শীর্ষ আদালতেও এই মর্মে ভর্ৎসিত হয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- পশ্চিম বর্ধমানে ৯/৯ চাইলেন অভিষেক