উৎসবমুখর বাংলায় জনপ্লাবন

Must read

প্রতিবেদন : মহাসপ্তমীর শহরে বাঁধ ভাঙছে দর্শনার্থীদের ভিড়। এ এক অন্য তিলোত্তমা। দিন-রাতের হিসেব ভেঙেচুরে কলকাতার রাজপথে সাধারণ মানুষের ভিড় অহরহ রেকর্ড গড়ছে। উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা পুজো মণ্ডপগুলিতে জনস্রোতের ঢেউয়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। শ্রীভূমি, টালা প্রত্যয়, বালিগঞ্জ কালচারাল, কলেজ স্কোয়্যারের মতো প্যান্ডেলগুলিতে পুজো পরিক্রমায় মানুষের লাইনের কোনও শুরু নেই, শেষও নেই। ভরদুপুরে হোক কিংবা মধ্যরাতে, ঠাকুর দেখার লাইনে ক্লান্তিহীন জনতার ঢল। কয়েক হাজারের সেই লাইনে শুধুই মুঠোফোনের ক্যামেরায় মুহূর্ত ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। এই ছবি অবশ্য শুধুই কলকাতা শহর কিংবা শহরতলির নয়, বিভিন্ন জেলার পুজো প্যান্ডেলগুলিতেও ধরা পড়েছে একই ছবি।
মহালয়ার পরপরই মোটামুটি উদ্বোধন হয়ে গিয়েছিল শহর কলকাতার কয়েকহাজার পুজো মণ্ডপ। তারপর থেকেই কার্যত উৎসবে মেতে উঠেছে সাধারণ মানুষ। কোথাও স্কুল-কলেজের বন্ধুবান্ধবদের ভিড়, কোথাও সদ্য-প্রেমে-পড়া যুগলের প্রথম পুজোর স্বাদ আস্বাদন। কোথাও আবার জীবনের বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসা বৃদ্ধ দম্পতির নিজেদের ক্যামেরাবন্দি করে রাখার চেষ্টা। উত্তরে হাতিবাগান সর্বজনীন, কাশী বোস লেন থেকে শুরু করে মধ্য কলকাতার মহম্মদ আলি পার্ক, কলেজ স্কোয়্যার এবং দক্ষিণে চেতলা অগ্রণী, একডালিয়া এভারগ্রিনের মতো পুজো মণ্ডপগুলিতে বিভিন্ন বয়সের মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে দিন-রাত। জনস্রোত নিয়ন্ত্রণে শহরের রাস্তায় ২৪ ঘণ্টার জন্য মোতায়েন হয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ। রয়েছে পর্যাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ারও। সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি কোথাও যেন কোনওরকম বিশৃঙ্খলা না তৈরি হয়, সেদিকে থাকছে কড়া নজরদারি। উৎসবের মাঝে রাস্তাঘাটে যান-চলাচল যতটা সচল রাখা যায়, সেই চেষ্টাও চলছে সমানভাবে।

আরও পড়ুন- ডাক্তারই নয়! আদালত জামিন দিল না ধৃতদের

Latest article