প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোরে পুজো বৈঠকে দুর্গোৎসবের (Durga Puja) সুর বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে চমকে দিয়ে এবারের পুজোর অনুদান ঘোষণা করেছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে পুজো কমিটি ও ক্লাবগুলিতে কার্যত পুজোর আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে। পুজোর বাকি আর মাত্র ৫৭ দিন। কলকাতা থেকে জেলা— মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। থিম শিল্পী থেকে তাঁর সহকারী-ডেকরেটর-মণ্ডপ শ্রমিক-কুমোরটুলি-সহ রাজ্যজুড়ে মৃৎশিল্পী, কারও নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। এরই মাঝে আমরা কথা বলেছি কয়েকজনের সঙ্গে। চূড়ান্ত ব্যস্ততার মাঝেই এঁরা বললেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। দুর্গাপুজো (Durga Puja) এখন শুধুমাত্র পুজোতে আটকে নেই। প্রায় আশি হাজার কোটি টাকার একটি ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। যার অংশ আমরাও। আমাদের সারা বছরের রোজগার উঠে আসে এই পুজোর কাজ করে। গত ১৪ বছরে ধুমধাম করে দুর্গোৎসব (Durga Puja) হওয়াতে আমাদের রোজগার বেড়েছে। আমরা দুটো পয়সার মুখ দেখতে পাই। আমাদের পরিবার নিয়ে আমরা ভালভাবে বাঁচতে পারছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
আরও পড়ুন- নেতাজি টেররিস্ট! ক্ষমা চাক বিজেপি
প্রশান্ত পাল (থিম শিল্পী)
টালা বারোয়ারি লালাবাগান নবাঙ্কুর, শিবমন্দির
দুর্গাপুজো শুধু এখন আর ধর্মীয় উৎসবে আটকে নেই৷ পুজো এখন একদিকে যেমন শিল্পের বিকাশ ঘটায়৷ শিল্পীদের সম্মান দেয়৷ অর্থ দেয়৷ একইসঙ্গে পুজোর সবক’টি বিভাগের সঙ্গে জড়িত সকলেই রুজি–রোজগার পায়৷ আগে ১০০ দিনের কাজ পাওয়া যেত৷ এখন তো সেসব নেই৷ রাজ্য সরকার নিজের মতো করে চেষ্টা করছে৷ কিন্তু দুর্গোৎসব একসঙ্গে একলপ্তে বহু মানুষকে ভালরকম রোজগার দেয় বাংলাজুড়ে৷
গৌতম মাইতি (ডেকরেটর)
সারা বছরের কাজের থেকে দুর্গাপুজোর সময় যে কাজ আমরা করি তাতেই বাকি বছরটা চলে যায়৷ আমাদের অনেকগুলো পেট ভরে৷
সজনী বাগদি (সহশিল্পী)
আমরা আগে সেভাবে কাজ পেতাম না৷ গ্রামে পড়ে থাকতে হত৷ গত কয়েকটা বছর ধরে দুর্গাপুজো উৎসবে পরিণত হওয়াতে কপাল খুলেছে৷
দীপক দাস (প্রধান সহশিল্পী), মেদিনীপুর
সারাবছর তাকিয়ে থাকি দুর্গাপুজোর কাজের ক’টা মাসের দিকে৷ মূল রোজগারটা এই ক’টা মাসেই হয়৷ আগে এসব ছিল না৷
অরূপ মুখোপাধ্যায় (কর্মকর্তা)
কল্যাণী আইটিআই লুমিনাস ক্লাব
বাম আমলে দুর্গাপুজোর অনুমতি হাইকোর্ট থেকে করিয়ে আনতে হয়েছে৷ এই তো অবস্থা ছিল৷ এখন পাঁচ মাস ধরে ১০০ শ্রমিক দুই শিফটে কাজ করছে৷