প্রতিবেদন : হাতে আর দু’দিন। তারপরই মহালয়া। পিতৃপক্ষ শেষ, শুরু দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষ মানেই পুজোর গন্ধ, উন্মাদনা, উৎসবের মেজাজ। শহর থেকে জেলা, পুজো কমিটিগুলির প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সেজে উঠছে কলকাতার বড় মণ্ডপগুলি। কুমোরটুলিতে এখন শেষ বেলার ব্যস্ততা। বড় পুজোগুলির প্রতিমা এরই মধ্যে মণ্ডপে পৌঁছাতে শুরু করেছে। জেলার ছবিটাও একই। প্রতিবাদ, আন্দোলন, ধরনা কাটিয়ে ফের উৎসবের পরিবেশ রাজ্য জুড়ে। মাঝে কিছুটা বাদ সেধেছিল আবহাওয়া। টানা বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। তবেই সবই এখন অতীত। ফের উৎসবমুখর বাংলা। পুজোর অন্যতম বড় অঙ্গ কেনাকাটা।
আরও পড়ুন-সাগর দত্তে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা, বাড়ল পুলিশের সংখ্যা, বসছে সিসি ক্যামেরা
মহালয়ার আগের শেষ রবিবার কেনাকাটার ভিড় উপচে পড়ল ধর্মতলা, নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট চত্বরে। পরিবার ও পছন্দের মানুষদের জন্য চলল চুটিয়ে কেনাকাটা। উদ্বেগ কাটিয়ে মুখে হাসি বিক্রেতাদেরও। সারা বছর তাঁরাও বসে থাকেন এই দিনগুলির জন্যই। তাঁরা বলছেন, অনেকটা দেরি শুরু হলেও পুজোর বাজার ধীরে ধীরে জমছে। বাড়ছে বিক্রিবাটা। তাঁদের আশা, মাস পড়লে আরও বাড়বে কেনাকাটা। মল, বড় দোকান থেকে ফুটপাথের হকার, পুজোর আগের শেষ সপ্তাহের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন বিক্রেতারা। কেনাকাটা বাদ দিলে পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হল খাওয়া-দাওয়া। একটু ঝিমিয়ে থাকার পর তার বাজারও এবার কিছুটা চাঙ্গা। কেনাকাটা করতে বেরিয়ে খাওয়া-দাওয়াটাও মাস্ট। বিক্রি বাড়ছে রেস্তোরাঁগুলিতে। সব মিলিয়ে পুজোকে কেন্দ্র করে অর্থনীতির ছবিটা এখন অনেকটাই উজ্জ্বল। দেবীপক্ষের প্রথম দিন থেকেই এবার পুজো উদ্বোধন শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছরের মতো এবারও কলকাতা ও জেলার বহু পুজোর উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। তার আগে মঙ্গলবারই শারদোৎসবের সূচনা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। ওইদিন পূর্ব কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শারদোৎসরের সূচনা করবেন তিনি। সেদিন যেহেতু দেবীপক্ষ পড়ছে না তাই পুজোর উদ্বোধন ওইদিন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সবমিলিয়ে যাবতীয় আশঙ্কা, উদ্বেগ কাটিয়ে ফের পুজোর উন্মাদনায় মজেছে বাঙালি, মহালয়ার আগের শেষ রবিবার সেটাই প্রমাণ করছে।