সংবাদদাতা, বীরভূম : পুজোর আগেই পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে বীরভূমের ক্রাশার খাদান বন্ধ হতে চলেছে। আর তাতেই আশঙ্কার প্রহর গুনছে জেলার শত শত শ্রমিক পরিবার। পুজোর আগে এই বন্ধে মাথায় হাত পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু শ্রমজীবী মানুষের।
বীরভূমে মোট ছ’টি বৈধ ক্রাশার ও খাদান আছে। কিন্তু পরিবেশ আদালতে এক মামলার প্রেক্ষিতে বাকি সমস্ত ক্রাশার খাদান বন্ধ থাকায় বৈধ ছ’টি ক্রাশার খাদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার পাথর খাদান ও ক্রাশার অ্যাসোসিয়েশন। ফলে সমস্যা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন-গণেশপুজো নিয়ে রাজ্যের সর্বত্র উৎসাহ তুঙ্গে
জাতীয় পরিবেশ মন্ত্রকের বিধি মেনে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র নিয়ে পাথর ক্রাশার, খাদান চালানোর নির্দেশ আসার পরই আইন মেনে পাথর শিল্পাঞ্চল চালানোর জন্য সিউড়িতে শিল্পাঞ্চলের মালিকদের ডেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায়। প্রত্যেক খাদানমালিককে ডেকে আলাদা করে শুনানি করবেন পরিবেশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসছে বাংলাদেশে সংকট কাটার আশা
বীরভূম জেলায় ছ’টি জায়গায় ২১৭টি পাথর খাদান রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ছয়টি বৈধ, যাদের দীর্ঘমেয়াদি ছাড়পত্র রয়েছে। বীরভূম জেলায় মোট ১৭০০ টি পাথর ক্রাশার ছিল। জেলার বেসরকারি হিসেবে ৮০০টি ক্রাশার চলছে। ২০১৬ সালে ২৯ জুলাই পরিবেশ আদালত জানায় ২১১টি খাদানের বৈধতা নেই। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে পাথর খাদান থেকে আরম্ভ করে ক্রাশার সমস্ত কিছু পরিদর্শন করে যায়। সে সময় ক্রাশারগুলি এবং খাদানগুলির নিয়ম না মেনে কাজ করার নমুনা পান তাঁরা। সারা জেলা খাদান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কমল খান বলেন, আসলে ষাটটি খাদান চলত। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে সেগুলো সব বন্ধ থাকবে। ক্ষতি তো গরিব মানুষের সব থেকে বেশি। কিন্তু কী করা যাবে। বীরভূম পাথর খাদান ও ক্রাশার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজের মল্লিক এব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তবে জানা গেছে, বাকি ক্রাশার খাদান না চললে, ছ’টি বৈধ ক্রাশার খাদান চলে কী করে?