প্রতিবেদন : প্রচার নেই। নেই কোনও হোডিং বা ব্যানার। চাঁদা নিয়ে নেই কোনও বাড়াবাড়ি। গুটিকয়েক সদস্যর উদ্যোগ আর মানুষের ভালবাসাই এই পুজোর সম্বল। বেহালার বুড়ো শিবতলার জনকল্যাণ সংঘ (Buro Shibtala- Durga Puja)। ১৭ বছর ধরে কোনওরকম চাঁদা ছাড়াই নিজেদের উদ্যোগে করে আসছে মা উমার আরাধনা। এ-বছরের প্রয়াস আপনার দৃষ্টি আমাদের সৃষ্টি। গোটা মণ্ডপজুড়ে তুলে আনা হয়েছে আর্ট কলেজের পরিবেশ। কীভাবে একের পর এক শিল্পী নিজেদের কাজে মগ্ন থাকেন, সেই গল্পই বলবে তারা। সহজ ভাবনার মধ্যে এই থেমে লুকিয়ে রয়েছে গভীর চিন্তা। বাংলার দুর্গাপুজো এবছর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। যার অন্যতম অঙ্গ হলেন মণ্ডপ ও প্রতিমা শিল্পীরা। ক্লাবের (Buro Shibtala- Durga Puja) ভেদাভেদ, প্রতিযোগিতা সবকিছু ভুলেই প্রতিটি শিল্পীকে সম্মান জানানো হয়েছে বুড়ো শিবতলার পুজোয়। কলকাতার ৪৩ জন বিশিষ্ট প্রতিমা ও মণ্ডপ শিল্পীদের ছবির কোলাজ রয়েছে মণ্ডপে। মণ্ডপের মধ্যে রয়েছে ৫৪টি ক্লাবের নাম। উদ্যোক্তা রবিন মণ্ডল জানালেন, দুর্গাপুজো হল মিলনের উৎসব। আমাদের পুজো কোনও প্রতিযোগিতায় নেই। কোন প্রচারেও নেই। প্রত্যেকের ভাল কাজের স্বীকৃতি তুলে ধরাই আমাদের পুজোর থিম। চাঁদা তুলে পুজোয় আমরা বিশ্বাস করি না। কেউ যদি ভালবেসে আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্বাগত।