সংবাদদাতা, নলহাটি : রটন্তী কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে বৃহস্পতিবার পূজাঙ্গীভূত যজ্ঞ ও পূজাঙ্গীভূত বলি সহকারে বিশেষ পুজো হল আকালীপুরের (Akalipur) মহারাজা নন্দকুমারের গুহ্যকালী মন্দিরে। দশোপচারে নিত্যপুজো ছাড়াও হল ষোড়শোপচারে মায়ের পূজা। রোজকার আতপ চালের ভোগ, শাক, ভাজা, মাছের টক ও পায়েস ছাড়াও এই পুজোয় ছিল খিচুড়ি, বলির মাংস, দই ও মিষ্টি। গুহ্যকালীর এই শিলামূর্তি মহারাজা নন্দকুমার নিয়ে আসেন গঙ্গাপথে হুগলি থেকে মুর্শিদাবাদে। সেখান থেকে দ্বারকা নদ হয়ে ব্রহ্মাণী নদী ধরে তাঁর নৌকা এসে ভেড়ে আকালীপুর গ্রামের ধারে।
আরও পড়ুন-বিনিয়োগ আসছে! দেড় লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ, ২০,৩০০ নতুন শিল্পের প্রস্তাব হাওড়ায়
মূর্তিটিকে বটগাছের নীচে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেসময় মহারাজাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসায় ইংরেজরা। তিনি বন্দি হন। ফলে অসম্পূর্ণ মন্দিরে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন নন্দকুমারের ছেলে গুরুদাস রায়। বিচারে মহারাজার ১৭৭৫ সালের ৫ অগাস্ট ফাঁসি হয়। রাজা গুরুদাস ও রানি জগদম্বা অপুত্রক অবস্থায় মারা যান। তাঁদের তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের ছেলেরা পুজোর দায়িত্ব নেন। ২৩৫ বছর মন্দিরে কোনও সংস্কার হয়নি। ২০০৪ সালে প্রথমবার রাজা গৌরীশঙ্কর মন্দির সংস্কারে সাড়া দেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাদিনে হল বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা। বহরমপুরের কুঞ্জঘাটা থেকে এসেছেন রাজপরিবারের সদস্যরা।