সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা। গ্রামের জীবন হবে আরও আধুনিক। শহরের সব সুযোগই মিলবে গ্রামের মানুষের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ফেলে রাখা কাজ শুরু হবে। সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে নতুন বাংলা গড়ব আমরা। রাজ্যের গ্রাম হয়ে উঠবে শহর। পরিষেবার মান আরও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সুব্রতদার দেখানো পথেই পঞ্চায়েত দফতরের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাব। পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্বভার গ্রহণ করে এমনটাই বললেন পুলক রায়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাশাপাশি পুলক রায়কে পঞ্চায়েত দফতরেরও দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলক রায় বলেন ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে বিরাট পাওয়া। সুব্রতদার মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব এই রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কাজকর্ম দেশের শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। ১০০ দিনের কাজ-সহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে এই রাজ্য দেশের সেরার শিরোপা পেয়েছে। এই সাফল্য আমাদের ধরে রাখতে হবে।’ গ্রামোন্নয়নের জন্য যেসব প্রকল্পগুলি চলছে সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন : গোয়ায় দলে যোগ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সহ চার
বাংলা আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা, আনন্দধারা, মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্প, গ্রাম স্বশক্তিকরণ কর্মসূচি, ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির বিষয়েও দফতরের আধিকারিকদের কাছে খোঁজ নেন তিনি। এইসব প্রকল্পের কাজকর্ম আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবার ওপরেও জোর দেন। এমনিতেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দায়িত্ব নিয়ে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ায় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সেরার শিরোপা পায় রাজ্য। অক্টোবর মাসে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পায় এই রাজ্য। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের উদ্যোগে গ্রামীণ এলাকায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৪টি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।