সেচের জন্য বোরিংয়ের জল নেওয়ার ‘শাস্তি’ মধ্যযুগীয় নৃশংসতা, গেরুয়া মধ্যপ্রদেশে দলিত যুবককে পিটিয়ে মারল পঞ্চায়েত প্রধান

দলিত মহিলাকে নিগ্রহের পর এবার বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় ২৮ বছরের এক দলিত যুবককে পিটিয়ে মারল গ্রামের প্রধান।

Must read

প্রতিবেদন: পান করার জন্য নয়, চাষের জন্য জল নিয়েছিলেন বলে পিটিয়ে মারা হল গেরুয়া মধ্যপ্রদেশের এক দলিত যুবককে। মূল অভিযুক্ত গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এবং তার শাকরেদরা। হ্যাঁ, এমনি নীচে নেমেছে বিজেপিরাজ্যের মধ্যযুগীয় বর্বরতা। শুধু সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ নয়, জাতপাতের ভেদাভেদেও এখন একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলো। ডবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশে জাতপাতের শোষণ নতুন নয়। দলিতরা বারবার অমানবিকতার শিকার হয়েছেন পানীয় জলকে কেন্দ্র করে। শিবপুরির ইন্দরগড়ে এবার ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল চাষের জল নিয়ে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, দলিত-বিরোধী বিজেপিকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই! ডবল ইঞ্জিন শাসিত মধ্যপ্রদেশ যেন জাতিগত বিদ্বেষের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন-স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর

দলিত মহিলাকে নিগ্রহের পর এবার বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় ২৮ বছরের এক দলিত যুবককে পিটিয়ে মারল গ্রামের প্রধান। মধ্যপ্রদেশের দলিতদের উপর এই নৃশংসতা কবে বন্ধ হবে মোহন যাদব জী? আর কতদিন জাতিগত এই বিদ্বেষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন আপনি? যত বেশিদিন বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, তত খোলাখুলিভাবে জাতপাতের হিংসা ভয়াল আকার নিচ্ছে। এবার শুধুমাত্র খেতে দেওয়ার জন্য বোরিংয়ের জল ব্যবহার করার ‘অপরাধে’ এক দলিত যুবককে পিটিয়ে মারল পঞ্চায়েত প্রধান আর তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও অধরা সেই প্রধান। বিচার অধরা দলিত পরিবারের।
মধ্যপ্রদেশের শিবপুরির ইন্দরগড়ের এক ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট ধরা পড়েছে দলিত শ্রেণির উপর উচ্চবর্ণের অত্যাচারের নিদারুণ ছবি। কী হয়েছিল ঘটনাটা? মামার বাড়ি ইন্দরগড়ে গিয়ে খেতের কাজ দেখাশোনা করছিলেন বছর আঠাশের নারদ যটব। ভুল বশত তিনি বোরিংয়ের জল দিয়ে ক্ষেতে জল দিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধান পদম সিং ধাকড় কিছু লোকজন নিয়ে নারদের উপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি হাতে আসা সেই সাঙ্গপাঙ্গরা বেধড়ক মারতে থাকে নারদকে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় মার খেয়ে নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরেও লাঠির বাড়ি পড়তে থাকে নারদের উপর। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে শিবপুরী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সুভাষপুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে এখনও কেন গ্রেফতার করা হল না অভিযুক্ত সেই প্রধান এবং শাকরেদদের। গেরুয়া পুলিশ কি তাহলে আড়াল করছে অপরাধীদের?

Latest article