ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবি নিয়ে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলনে আসা ৭৮ বছরের এক কৃষকের মৃত্যু (Punjab farmer Gian Singh)। শুক্রবার সকালে। কেন্দ্র সরকারের দমনমূলক নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দ্বিতীয় দফার আন্দোলনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশের কৃষক মহল। ১৩ মাস ধরে প্রথম দফার আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৭৫০ কৃষকের। পুলিশের প্রবল প্রতিরোধ, যুদ্ধের ময়দানের মতো কাঁদানে গ্যাসের বৃষ্টিতে উপেক্ষা করেও দিল্লি যাওয়ার জেদ নিয়ে সীমান্তে জোর ধাক্কা জারি কৃষকদের।
এদিন সকালে দিল্লির শম্ভু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে ৭৮ বছরের জ্ঞান সিং (Punjab farmer Gian Singh) হঠাৎই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। তাঁকে পাঞ্জাবে রাজপুরের সিটি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাতিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। শম্ভু সীমান্তে গত তিনদিন ধরে লাগাতার কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। কৃষকদের অগ্রগতি আটকাতে ড্রোনের মাধ্যমে কাঁদানে গ্যাসের সেল উড়িয়ে এনে কৃষকদের মাঝে ফাটানো হচ্ছে। সেই গ্যাসের কারণে ইতিমধ্যেই অসুস্থ বহু কৃষক। আজ মৃত জ্ঞান সিংয়ের বাড়ি পাঞ্জাবে গুরুদাসপুর জেলার চাচোকি গ্রামে। এই আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম।
আরও পড়ুন- ফের ভারত বনধ কৃষকদের, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় মিলল না সমাধান সূত্র
কৃষক ও কেন্দ্রের মধ্যে এর মধ্যে তিনবার আলোচনা হলেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। দিল্লি গিয়ে নিজেদের দাবি পেশের দাবিতে অনড় প্রায় ২৫টির বেশি কৃষক সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে একমাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি থেকে শব্দ কামানের প্রয়োগ, কোনও কিছুই বাকি রাখেনি মোদি সরকার। কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের সরকারের যে কোনও সমবেদনা নেই তা কৃষক মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আরও একবার সামনে আসছে।