এক সপ্তাহ হতে চলল, এখনও পঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) গোয়েন্দা বিভাগের এক কনস্টেবল বেপাত্তা। পাতিয়ালায় তাঁর গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তের সময় দেখা গিয়েছে সেই গাড়ির মধ্যে চাপ চাপ রক্ত লেগে আছে। তবে সেই রক্ত নিখোঁজ কনস্টেবলের না কি অন্য কারও, সেটা এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। ওই কনস্টেবলের খোঁজে বিভিন্ন দিকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে মোহালিতে দায়িত্ব শেষ করে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন গোয়েন্দা বিভাগে নিযুক্ত পাঞ্জাব পুলিশের একজন কনস্টেবল। পরে ভানরা গ্রামের কাছে তাঁর গাড়িটি পাওয়া যায়, যেখানে রক্তের দাগ ছিল।
আরও পড়ুন-ফুটপাতে ঘুমন্ত শিশু-সহ পাঁচ জনকে পিষে দিল বিলাসবহুল গাড়ি, গ্রেফতার ১
নিখোঁজ কনস্টেবলের নাম ছিল সতীন্দর সিংহ। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ শেষ বার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। সতীন্দর জানিয়েছিলেন, তিনি থানা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু রাত পার হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি সতীন্দর। তাঁর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন ওই কনস্টেবল। কিন্তু, দু’ঘণ্টা পরেও তিনি বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে পরিবার। বার বার ফোন করেও লাভ হয়নি কারণ ফোনও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সতীন্দরকে খুন করে দেহ অন্য কোথাও ফেলে দেওয়া হয়েছে? যে এলাকা থেকে পরিত্যক্ত গাড়ি পাওয়া গিয়েছে সেই এলাকার খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-ডিজ়েল ট্যাঙ্কারে অগ্নিকাণ্ড, তামিলনাড়ুতে মালগাড়িতে ভয়াবহ আগুন
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা কনস্টেবলের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছেন। ওই গাড়ি কোথায় কোথায় গিয়েছিল, সেই সব তথ্য উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। সতীন্দর আগে মোহালির তৎকালীন এসএসপি সন্দীপ গর্গের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। পরে সন্দীপকে গোয়েন্দা বিভাগে পাঠানো হলে সতীন্দরেও ডিউটি পড়ে সেখানে। সতীন্দরের বাবা ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।