শ্রেয়সের ছোঁয়ায় ছুটছে পাঞ্জাব

রিকি পন্টিং ও শ্রেয়স আইয়ারের ছোঁয়ায় যেন বদলে গিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। শুরুতেই টানা দুই ম্যাচ জিতে নতুন মরশুমে ছুটছে তারা।

Must read

লখনউ, ১ এপ্রিল : রিকি পন্টিং ও শ্রেয়স আইয়ারের ছোঁয়ায় যেন বদলে গিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। শুরুতেই টানা দুই ম্যাচ জিতে নতুন মরশুমে ছুটছে তারা। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স বুঝিয়ে দিচ্ছেন, নতুন মরশুমে নতুন দলকেও ট্রফি জেতাতে চান তিনি।
প্রথম ম্যাচে গুজরাটকে তাদের ডেরায় শ্রেয়সের দল হারিয়েছিল স্কোরবোর্ডে ২৪৩ রান তুলে। আর এদিন নবাবের শহরে ঋষভ পন্থের দলকে পাঞ্জাব উড়িয়ে দিল ৮ উইকেটে। ২০ ওভারে লখনউয়ের করা ১৭১-৭ স্কোর ২২ বল হাতে রেখে টপকে গেল শ্রেয়সের পাঞ্জাব। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ২৭ কোটির ঋষভের উপর চাপ আরও বাড়ল। ব্যাটে এবং নেতৃত্বে সেই ব্যর্থতা। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সেই হারের সরণিতে তাঁর দল। গ্যালারিতে বসে আবারও হতাশায় মুখ ঢাকলেন লখনউয়ের টিম কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।

আরও পড়ুন-রেকর্ড, ৪৯২ কোটির রাজস্ব আদায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে

ঘরের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে রান তুলতে যে সমস্যায় পড়েছিল লখনউ, সেটা পাঞ্জাবের ব্যাটিংয়ের সময় বোঝাই গেল না। শুরু থেকে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করল কিংস। প্রভসিমরন দেখিয়ে দিলেন, কেন এবার তাঁকে ধরে রেখেছে পাঞ্জাব। ওপেন করতে নেমে কার্যত একার কাঁধে দলের জয় নিশ্চিত করেন প্রভসিমরন। শুরুতেই প্রিয়াংশ আর্যর (৮) ফিরে যাওয়ার ধাক্কা বুঝতেই দেননি পাঞ্জাব ব্যাটার। মাত্র ৩৪ বলে ৬৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন প্রভসিমরন। মারেন ন’টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি। বাকি কাজটা একইরকম ঝড়ের গতিতে সারেন অধিনায়ক শ্রেয়স ও নেহাল ওয়াধেরা। দু’জনেই অপরাজিত থেকে পাঞ্জাবকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন। শ্রেয়সের ৩০ বলে ৫২ রানের ইনিংস সাজানো তিনটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারিতে।
একই মেজাজে ২৫ বলে ৪৩ রানের মারমুখী ইনিংস নেহালেরও। লখনউয়ের লেগ স্পিনার দিগবেশ সিং রাঠি (২ উইকেট) ছাড়া ঋষভের দলের আর কোনও বোলার পাঞ্জাব ব্যাটারদের সমীহ আদায় করতে পারেননি।

আরও পড়ুন-কলকাতা হাইকোর্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ড নয় : কল্যাণ

লখনউয়ের ইনিংসে মার্করাম শুরুটা ভাল করেছিল। কিন্তু লকি ফার্গুসন প্রোটিয়া ওপেনারকে ফেরানোর পরই চাপে পড়ে নবাবের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। অর্শদীপ, ম্যাক্সওয়েলের ধাক্কায় দ্রুত ৩৫-৩ হয়ে যায় গোয়েঙ্কার টিম। রান পাননি অধিনায়ক পন্থ (২)। সেই উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার পুরনো রোগ থেকে বেরোতে পারছেন না। সেখান থেকে নিকোলাস পুরান ও আয়ুষ বাদোনির জুটি লখনউকে ম্যাচে ফেরায়। ছন্দে থাকা পুরানকে (৩০ বলে ৪৪) চাহাল আউট করার পর ডেভিড মিলারও (১৯) বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাদোনি (৩৩ বলে ৪১) ও আব্দুল সামাদের (১২ বলে ২৭) ঝোড়ো ব্যাটিং ঋষভদের লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেয়। পাঞ্জাবের অর্শদীপ সিং ৩ উইকেট নেন।

Latest article