লুপ্তপ্রায় ড্যাংয়ের পুতুলনাচ মহিষমর্দিনী পুজোর আকর্ষণ

দক্ষিণ ২৪ পরগনার খাকড়াকোনা গ্রামের বাসিন্দা জ্ঞানদা চক্রবর্তী এই পুতুলনাচের দল তৈরি করেন। তিন পুরুষ ধরে এই সংস্থা কালনার মহিষমর্দিনী পুজোয় আসছে।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : বাংলা লোকসংস্কৃতির লুপ্তপ্রায় ড্যাংয়ের পুতুলনাচের ঐতিহ্য ফেরাল কালনার মহিষমর্দিনী পুজো কমিটি। পুজোর চারদিন এর আকর্ষণে ভিড় জমাচ্ছে খুদেদের সঙ্গে বড়রাও। ঐতিহ্যকে ফেরানোয় তারিফ কুড়োচ্ছে পুজো কমিটি। ড্যাংয়ের পুতুলনাচ আদতে কী তা জানালেন ‘জ্ঞানদা পুতুলনাচ সংস্থা’র কর্ণধার মাধব চক্রবর্তী। লাঠির উপরে কাঠের পুতুলকে রেখে নানান পৌরাণিক ও সামিজিক ঘটনাকে ভিত্তি করে পালা দেখানোই হল ‘ড্যাংয়ের পুতুলনাচ’।

আরও পড়ুন-স্বাধীনতার পঁচাত্তরে শিক্ষাঙ্গনে অন্য উদযাপন, দেওয়ালে রঙিন আলপনা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার খাকড়াকোনা গ্রামের বাসিন্দা জ্ঞানদা চক্রবর্তী এই পুতুলনাচের দল তৈরি করেন। তিন পুরুষ ধরে এই সংস্থা কালনার মহিষমর্দিনী পুজোয় আসছে। জানা গেল, দলে ১০ জন সদস্য রয়েছেন। এখন আর তেমন ডাক পড়ে না। ফলে সদস্যরা কেউ হকারি, কেউ দিনমজুরি করেন। ডাক পেলে পুতুল কাঁধে ছোটেন। তেমন বায়না না পেলেও পুতুলনাচের শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে রাজ্য সরকার। মাসে ১ হাজার টাকা করে শিল্পীভাতা এবং সরকারি কর্মসূচিতে ডাক পাচ্ছেন তাঁরা। মাধববাবু বলেন, ‘‘সরকার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিদান হিসেবে যতদিন পারব এই নাচ দেখিয়ে মনোরঞ্জন করে যাব।’’ তবে বর্তমান প্রজন্ম এই নাচের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহী নয় বলে আফশোসও করেন সত্তরোর্ধ্ব মাধববাবু। পুতুলনাচের পাশাপাশি যাত্রাপালা, বাউল, কীর্তনের মতো লোকসংস্কৃতির প্রাচীন শাখাগুলিকেও গুরুত্ব দিয়েছে পুজো কমিটি। ফলে খুশি সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজন।

Latest article