প্রতিবেদন: পুরীতে কিশোরীর গায়ে আগুন লাগানোর ৪৮ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করল না বিজেপির পুলিশ। এদিকে ওই কিশোরীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় তাকে ভুবনেশ্বর এইমস থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লি এইমসে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিশোরীর শরীরের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে ডিপবার্ন। ভুবনেশ্বর এইমসে ১৪ সদস্য মেডিক্যাল বোর্ড বসানো হয়। বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী চিকিৎসায় কিছুটা সাড়া দিচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেও কিছুটা সাহায্য করছে। লক্ষণীয়, পুরীতে শনিবার ১৫ বছরের ওই নাবালিকার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ৩ দুষ্কৃতী। কিন্তু ঘটনার পরে প্রায় দু’দিন কেটে গেলেও এখন কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হল না, রহস্য দেখা দিয়েছে তাই নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপি সরকারের নির্দেশে কি অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে গেরুয়া পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপির নারীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মন্তব্য, এটাই বিজেপি রাজ্যের আসল ছবি। বেটি বাঁচাও বলে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোট ভিক্ষা করে, তাদের রাজ্যে মহিলারা কতটা নিরাপত্তার অভাবে ভুগচ্ছেন, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এর বেলায় নীরব কেন মহিলা কমিশন?
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের দেখানো পথেই সংসদে ঝড় তুলবে ইন্ডিয়া জোট
১৫ বছরের ওই নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, এক বন্ধুকে বই দেওয়ার জন্য সকালে বেরিয়েছিল ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা। বালেশ্বরের ফকির মোহন কলেজের এক ছাত্রী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা ওড়িশা যখন ক্ষোভে ফুঁসছে তখন পুরীর এই ঘটনা নিঃসন্দেহে আরও বেআব্রু করে দিল বিজেপির আসল রূপ।