প্রতিবেদন : কলকাতার পাশাপাশি অণ্ডাল ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান ওঠা-নামা করে। কোচবিহারেও রয়েছে বিমানবন্দর। সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে পুরুলিয়াও। শহর থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে ছররাতে তৈরি হতে চলেছে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর। সৌজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার। ২০১৭ সালে এখানে বিমানবন্দর গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জরুরি পরিস্থিতিতে বিমান ওঠানামার জন্য পুরুলিয়া মফস্বল থানার এই ছররাতে এয়ার স্ট্রিপ তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত। তাকে অত্যাধুনিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করতে চায় রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে বৃহষ্পতিবার রাজ্য ট্রান্সপোর্ট বিভাগের এয়ারক্র্যাফট ইঞ্জিনিয়ার, রাইটস এবং ভূমি দফতরের আধিকারিকরা এই রানওয়ে পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখেন জমির মানচিত্র। বিমানবন্দর তৈরির জন্য এখানে ১,৭২২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৫০ মিটার প্রস্থ জায়গা রয়েছে।
জেলাশাসক সুধীর কোন্থম জানান, টেকনিক্যাল বিষয় দেখার জন্যই এই দলটি এসেছিল। তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, বিমান ওঠানামায় কিছু সমস্যা হবে। কারণ এয়ারস্ট্রিপের একদিকে রেললাইন, অন্যপাশে হাইটেনশন বৈদ্যুতিক তার। টেকনিক্যাল টিমের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাইটেনশন তার সরিয়ে ফেললে পশ্চিম দিক বরাবর ১৯ আসন বিশিষ্ট ছোট বিমান নামানো সম্ভব হবে। রানওয়ের দৈর্ঘ্য সামান্য বাড়ালে ৪২ আসনের বিমানও ওঠানামা করতে পারবে। বিকল্প হিসেবে এখানে একটি ‘এয়ার ট্রেনিং স্কুল’ তৈরির পরামর্শও দিয়েছে।
আরও পড়ুন-দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েতে রেলিং ভেঙে নদীখাদে গাড়ি পড়ে মৃত ৫
এই এয়ারস্ট্রিপটি ভৌগোলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। ঝাড়খণ্ড সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের একাধিক বড় শহর পাশে রয়েছে। রয়েছে রঘুনাথপুর ও আসানশোল মতো শিল্পনগর। এটি চালু হলে সরাসরি এক যোগসূত্রে চলে আসবে। আঞ্চলিক অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। টেকনিক্যাল রিপোর্ট দ্রুত রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে এবং দ্রুত ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু হবে।

