প্রতিবেদন : কী কাণ্ড! মোদিরাজ্যে জন্মেও রক্ষে নেই! অপরাধ তিনি বাংলাভাষী। তাই বাংলাবিরোধী বিজেপি হাসান শাহকে পাঠিয়ে দিল সটান বাংলাদেশে। বিজেপি-রাজ্যের প্রশাসনের কথায় বাংলাদেশের চরে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে এল অমিত শাহের বিএসএফ।হাসান সাহেবের জন্ম মোদি-শাহের রাজ্যেই, সেখানেই কর্ম ও নিবাস। কিন্তু তারপরও হাসান বাংলার আদি বাসিন্দা হওয়ায় বিজেপির রোষানলে পড়তে হয়। মে মাসে ৭৮ জনকে নৌকায় চাপিয়ে সাতক্ষীরার বঙ্গোপসাগর লাগোয়া মান্দারবাড়িয়া চরে ছেড়ে এসেছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। সেই দলে ছিলেন হাসান-সহ তিন ভারতীয় নাগরিক। একজন ভারতীয় নাগরিককে কী করে বাংলাদেশে পুশব্যাক করল বিএসএফ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ সেই সময়ই জানায়, ওই দলে তিনজন জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। তারপরও সে-কথা কানে তোলেনি গুজরাত সরকার। গুজরাতের সুরাতে একটি বস্তিতে স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে থাকতেন হাসান। গুজরাত পুলিশ হঠাৎ তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে হাত-পা বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। কেড়ে নেওয়া হয় ভারতীয় নাগরিকত্বের যাবতীয় নথিপত্র! তারপর কয়েকদিন আটকে রেখে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ‘লাইফ জ্যাকেট’ পরিয়ে রাইফেল উঁচিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়, সমুদ্রে ঝাঁপ মেরে সাঁতরে চরে যেতে। হাসান বলেন, বাংলাদেশের উপকূলরক্ষীরা তাঁদের উদ্ধার করে। বিচারকের নির্দেশে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে কাটান তাঁরা। হাসান জানান, তাঁর কাছে ভারতীয় সচিত্র পরিচয়পত্র, আধার এবং বিবাহের শংসাপত্র রয়েছে। গুজরাত পুলিশ বাংলায় কথা বললেই তাঁদের বাংলাদেশি বলে দেগে দিচ্ছে। এরপর বাংলার সরকার আওয়াজ তোলায় ভারতীয় নাগরিকরা ফিরতে পারছেন স্বদেশে। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই বিজেপি রাজ্যগুলিতে বাঙালি খেদাও অভিযান শুরু হয়েছে। বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। রাজ্যে-রাজ্যে চলছে নিপীড়ন, বর্বর আক্রমণ।
আরও পড়ুন- বিজেপি ও বুলডোজার সমার্থক