অমিতাভ ব্রহ্ম, দোহা: এই বিশ্বকাপটা লিওনেল মেসির। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। রবিবার আসতে এখনও দুটো দিন বাকি। কিন্তু এখন থেকেই দোহার রাস্তাঘাট, মেট্রো স্টেশন, এমনকী শপিং মলেও নীল-সাদা জার্সিধারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মুখে মেসির জয়গান। শুধু আর্জেন্টাইনরাই নয়, কাতারে বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিক, যারা মেসির টানেই আর্জেন্টিনার হয়ে টুর্নামেন্টের শুরুর দিন থেকে গলা ফাটাচ্ছে, তারাও মেসির হাতে কাপ দেখছে।
আরও পড়ুন-হেরেও মন জিতলেন মরক্কোর সমর্থকরা
আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে দু’টি স্টেডিয়ামের নাম অত্যন্ত ভালবাসার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। বুয়েনস আইরেসের ‘মনুমেন্টাল’ এবং মেক্সিকো সিটির ‘অ্যাজটেক’। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ ফাইনালের ভেনু এই দুই স্টেডিয়াম। যেখানকার সবুজ ঘাসে লেখা হয়েছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের দুই রূপকথা। রবিবাসরীয় লুসেইল কি তালিকার তৃতীয় সংযোজন হতে চলেছে!
এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা যেখানে ঘাঁটি গেড়েছে। সেই কাতার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আবার লুসেইল স্টেডিয়াম থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। মেট্রোতে মাত্র একটা স্টেশন। দূরত্বের হিসেবে পাঁচ কিলোমিটার। ম্যাচের দিন টিম বাসে করে মেসিদের স্টেডিয়ামে পৌঁছতে লাগে মাত্র মিনিট দশেক। তবে স্টেডিয়ামে কী এসে যায়! আসল কথা তো মাঠে নেমে পারফর্ম করা। সেটা অবশ্য মেসি করছেন। পাঁচটা গোল করা ছাড়াও তিনটে অ্যাসিস্ট।
আরও পড়ুন-বিরাটের ম্যাচ প্রস্তুতিও দেখার মতো : দ্রাবিড়
আশায় রয়েছেন জর্জ বুরুচাগাও। ’৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে দিয়েগো মারাদোনার পাস থেকে জার্মানির (সেই সময় পশ্চিম জার্মানি) বিরুদ্ধে জয়সূচক গোল করে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন। বুরুচাগা বলছেন, ‘‘মনে হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপটা লিও-ই জিতবে। কিন্তু আর্জেন্টিনা যদি চ্যাম্পিয়ন না-ও হয়, তাহলেও লিও সর্বকালের সেরা পাঁচজনের একজন হয়েই থাকবে।’’