অমিতাভ ব্রহ্ম, দোহা: যেদিকে তাকাও শুধু হলুদ জার্সিধারীদের ভিড়। রাস্তায়, মেট্রোতে। শপিং মলেও। ওরা এমনিতেই খুব আমুদে। এখন নেইমার ফেরায় আরও ফুর্তি। আর কোরিয়া ম্যাচ ওদের আনন্দের সুখ সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ব্রাজিলীয়রা এখন শুধু কাপ দেখতে পাচ্ছে। মাথায় ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনাল।
আরও পড়ুন-৫৬ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুনের হুমকি জঙ্গিদের
সোমবার একটা দারুণ ম্যাচ দেখলাম আমরা। দেখুন, এটা বলার দরকার পড়ে না যে ব্রাজিলের ফুটবল গোটা দুনিয়াকে দোলা দেয়। মাঠে নেমে ওরা সাম্বা ঝড় তোলে। এক-আধদিন সেটা হয় না। অঘটনই সেটা। মানবেন ওরাও মানুষ। যন্ত্র নয়। পেলের খারাপ দিন গিয়েছে। মারাদোনারও। তাহলে রিচার্লিসনদেরও সেটা হতে পারে। কোরিয়ার বিরুদ্ধে যে ব্রাজিলকে দেখলাম, আমরা সেটা দেখেই অভ্যস্ত। ওরা প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দিল না। ওই যে বলে, শত্রুকে বাড়তে দিও না। প্রথম ঝটকাতেই শেষ করে দাও। ওরা ঠিক সেটাই করল। প্রথমার্ধে চার গোল হয়ে যাওয়ার পর আমরা সাত-আট গোল ভাবছিলাম। কিন্তু তিতে পেশাদার কোচ। ছেলেদের এত পরিশ্রম করাবেন কেন? তিনি এরপর দলকে গুটিয়ে নিলেন। শুনছি তিনি নাকি দৌড়াদৌড়ি কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ছেলেদের।
আরও পড়ুন-চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন বিজেপিপন্থী পরিচালক অগ্নিহোত্রী
গ্রুপ লিগের ম্যাচ হেরে ব্রাজিল সমর্থকরা একটু গুটিয়ে গিয়েছিল। তার উপর নেইমারের চোট ওদের আরও মনোকষ্টে ফেলেছিল। কিন্তু এখন ছবিটা বদলে গিয়েছে। খুব হই-হুল্লোড় করছে ওরা। আর সেটা করারই কথা। সাম্বা ঝড় উঠলে কে কোথায় কবে নিজেকে সামলাতে পেরেছে?