প্রতিবেদন : দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা মনীষীদের মূর্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে অভিনব পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের পূর্ত দফতর। এবার মনীষীদের মূর্তির সঙ্গে নামফলকের পাশাপাশি বসানো হবে একটি করে কিউআর কোড। যাতে কোনও কারণে নামফলক অস্পষ্ট হয়ে গেলেও ওই কিউআর কোড স্ক্যান করে তাঁদের জীবন ও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে মানুষ পরিচিত হতে পারেন।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে শিক্ষায় প্রথম সারিতে বাংলা
নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে পাইলট প্রকল্প হিসাবে কলকাতা ময়দান চত্বরে থাকা মনীষীদের মূর্তিতে কিউআর কোড-সম্পন্ন বোর্ড লাগানো হবে। ধাপে ধাপে শহরের অন্যত্রও একই ব্যবস্থা হবে। মূর্তিগুলি এলইডি আলোতেও সাজানো হবে। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে অনেক নামী মনীষীর মূর্তির নামফলক মুছে গিয়েছে। দফতরের হিসাবে, ময়দান-চত্বরে মোট ২৬টি মূর্তি রয়েছে। অধিকাংশই পূর্ণাবয়ব মূর্তি। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দফতরই। তবে কর্মীর অভাবে সারা বছর ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয় না। মূর্তিগুলির উপরে ধুলো জমে থাকে। পাখিদের বিষ্ঠায় ঢাকা পড়ে। মূর্তি চিনতে অসুবিধা হয়। কিউআর কোড চালু হলে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।
আরও পড়ুন-আত্মহত্যা রুখতে মেট্রোয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর
এর পাশাপাশি নতুন করে নামফলক বসানো হবে। তাতে যাঁর মূর্তি, তাঁর নাম-পরিচয়, কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে। এমনকী মূর্তিটি কোন সময় বসানো হয়েছিল এবং কে নির্মাণ করেছিলেন সেই ইতিহাসও জানা যাবে। আরও বেশি তথ্য জানতে হলে কিউআর কোড স্ক্যান করে জেনে নেওয়া যাবে। পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ের বক্তব্য, মূর্তিগুলি যাতে সুন্দর থাকে, তার চেষ্টা করছি। অনেকে বলতেন, কার মূর্তি চেনা যাচ্ছে না। সেজন্যে প্রত্যেকটি মূর্তির সঙ্গে ইনফোগ্রাফিক্স দেওয়া থাকবে। কিউআর কোড ব্যবহার করে অনেক কিছু জানা যাবে।