সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : করোনা অতিমারির গ্রাফ নিম্নমুখী হতে বাংলা নববর্ষের শুরুতেই ১৬ এপ্রিল থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেল বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা। এই মর্মে ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিবের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
২০২০-র মার্চ মাস থেকে পাক্কা দুই বছর করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা। যার মধ্যে পড়ে সমগ্র উত্তরায়ন চত্বর। যে চত্বরে রবীন্দ্রনাথের বসতবাটী– উদয়ন, শ্যামলী, পুনশ্চ, কোনারক, উদীচীর মতো ঐতিহ্য গৃহগুলি রয়েছে। পাশাপাশি, ঠাকুর পরিবারের ব্যবহৃত সামগ্রী সম্বলিত সুবিশাল সংগ্রহশালা ও লাইব্রেরি, নোবেল পুরস্কারের প্রতিলিপি। যা দর্শকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, দু বছর এক মাস রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন – দিঘার পর্যটকদের জন্য তৈরি হচ্ছে ‘অবসারিকা’
রবীন্দ্রভবন (Rabindra Bhavan) খুলে গেলেও আশ্রমচত্বরের ঐতিহ্যস্থান— উপাসনাগৃহ, পাঠভবন, কলাভবন, ছাতিমতলা প্রভৃতি দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের প্রবেশ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন গৃহ, শ্যামলী বাড়িতে সংরক্ষণের কাজ চলছে। তাই ওই স্থানগুলিতে দর্শকদের প্রবেশ এখনও নিয়ন্ত্রিত।
বিশ্বভারতীর দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রবীন্দ্রভবনে (Rabindra Bhavan) প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য বেড়েছে। পড়ুয়াদের প্রবেশমূল্য আগের মতো ১০ টাকাই রাখা হয়েছে। অন্যদের জন্য বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশি নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশিদের জন্য ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে পর্যটক সকলেই। পুরো করোনামুক্তি না ঘটায় রবীন্দ্রভবনে প্রবেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানা গিয়েছে।