প্রতিবেদন : দীর্ঘ টালবাহানার পর গাজায় আটকে থাকা বিদেশিদের জন্য অবশেষে খুলল মিশরের দরজা। বিদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি রাফাহ সীমান্ত (Rafah Border Crossing) দিয়ে মিশর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে অসুস্থ ও জখম মানুষজনকে। রাফাহ সীমান্ত (Rafah Border Crossing) খুলে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর হাজার হাজার অসুস্থ, জখম, ঘরছাড়া প্যালেস্টিনীয় সীমান্তে অপেক্ষা করছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা ছেড়ে পালানোর জন্য। জানা যাচ্ছে, প্রথম দফায় বহু মানুষ এই সীমান্ত দিয়েই মিশরে রওনা দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই গাজার সব থেকে বড় জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল। গাজা সীমান্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫০০ জনের বেশি বিদেশি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, এমন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে। তাঁদের রাফাহ সীমান্তে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় বিদেশি নাগরিকদের সীমান্ত পার করা হবে। এছাড়াও ৮১ জন গুরুতর জখম প্যালেস্টিনীয়কে মিশরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এই মুহূর্তে গাজায় কোনও ইন্টারনেট সংযোগ এবং ফোন পরিষেবা নেই। প্যালেস্টিনীয় টেলিকম কোম্পানি জানিয়েছে, যোগাযোগ পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। পাঁচদিনের মধ্যে এনিয়ে দ্বিতীয়বার বাসিন্দারা সম্পূর্ণভাবে বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলের হামলায় ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল সেনা জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণে হামাসের এক কমান্ডারেরও মৃত্যু হয়েছে। ওই কমান্ডার ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার জন্য অন্যতম অভিযুক্ত। পাশাপাশি হামাস নেতা সালে আল অরুরির বাড়ি ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শুক্রবার আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফের ইজরায়েল সফরে যাবেন।
আরও পড়ুন- ইজরায়েলি হানায় নিহত পরিবারের ১৯ জন সদস্য, ১৫ দিনে মৃত্যু ৩৪৫০ শিশুর