প্রতিবেদন : বছরের শেষলগ্নে সীমান্তে ঘোর যুদ্ধের আবহ। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে অনুপ্রেবেশের চেষ্টা চালায় লাল ফৌজ। সঙ্গে সঙ্গে তার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় জওয়ানও। ঘটনার গুরুত্ব লঘু করে দেখাতে সংসদে প্রতীরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা ভারতীয় সেনার রয়েছে। ভারত ভূখণ্ডে লাল ফৌজের বেআইনি অনুপ্রবেশের বাস্তবতা স্বীকার করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু চিন ফের হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় সীমান্তে নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। লাগাতার মহড়া চালাচ্ছে সেনা। আকাশে টহল দিচ্ছে বায়ুসেনার বিমান। সীমান্তে অপেক্ষমাণ সেনার একের পর এক গাড়ি। অন্যান্য বছর এই সময় পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে তাওয়াং। কিন্তু এবার যুদ্ধের আশঙ্কায় কার্যত পর্যটকশূন্য শৈলশহর। বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের গাড়িকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন তাওয়াংয়ে না আসেন। চিন-ভারত সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আঁটসাঁট। বাদ পড়েনি বাংলাও। উত্তরবঙ্গ সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি। এবার অরুণাচল সীমান্তে হাসিমারা (Hasimara- Rafael) বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছেছে ৩৬ নম্বর রাফাল যুদ্ধবিমান। রাখা হয়েছে হাসিমারা এয়ারবেসে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অরুণাচল প্রদেশে চিনা সেনার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ৩৬ নম্বর রাফালের ভারতে পা রাখা অতি তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, ১৮টি রাফালের একটি স্কোয়াড্রন থাকছে হাসিমারায়, অন্যটি পাঞ্জাবের আম্বালার এয়ারবেসে৷
আরও পড়ুন-কাকে প্রার্থী করবেন আমাকে জানান: বললেন অভিষেক, দিলেন নম্বর
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত সীমান্তে টহল দিচ্ছে একাধিক চিনা যুদ্ধবিমান৷ তারই পাল্টা হিসেবে রাফাল (Hasimara- Rafael), সুখোইয়ের মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে অরুণাচল সীমান্তে৷ চিন যাতে কোনওভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে সেজন্য ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন৷ টহল দিচ্ছে ভারতীয় ফাইটার জেট৷ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উত্তরবঙ্গের কিছু অংশে নো–ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এদিকে সেনার তরফে চূড়ান্ত সতর্কতামূলক প্রস্তুতি বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার লালফৌজের অনুপ্রবেশকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, মোদি সরকারের শাসনে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন৷ ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনা প্রবেশ করলেও নীরব দর্শক কেন্দ্র৷