অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি : কোভিড টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্য এবার কি কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশবিরোধী বলা হবে? প্রশ্ন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর তথা খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. রঘুরাম রাজনের। সম্প্রতি আরএসএস-এর মুখপত্র ‘পাঞ্চজন্য’ সাপ্তাহিকে ভারতের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘ইনফোসিস’কে আক্রমণ করে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। সেই আক্রমণের রেশ টেনেই প্রাক্তন গভর্নর রাজনের প্রশ্ন, তাহলে করোনা টিকাকরণে ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রকেও কি দেশবিরোধী বলা হবে?
আরও পড়ুন-শেষ হল “কল্পতরু” মমতার দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মী ভাণ্ডারেই ২ কোটি আবেদন
এক সাক্ষাৎকারে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রঘুরাম রাজন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি মনে করি না যে জিএসটি রোলআউট খুব ভাল হয়েছে। ভারতে কারখানায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক যে ঘুরে দাঁড়ানোর সংখ্যাতত্ত্ব হাজির করা হচ্ছে তাতে এখনই উৎসাহিত হওয়া উচিত নয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলিকে অন্য দেশে যে পরিমাণে সহায়তা দেওয়া হয় আমাদের সরকার তা দিচ্ছে না। সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের শর্তাবলি সংস্কার করেই তার অগ্রগতি চায়।
আরও পড়ুন-টাইম ম্যাগাজিনের প্রথম ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা
দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে রাজন বলেন, রাজ্য সরকারগুলির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। কেন্দ্রীয় সেসের মাধ্যমে রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রাস করেছে কেন্দ্র। আসলে, ভারত একচেটিয়াভাবে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এবং তাও কেবল কেন্দ্র দ্বারা নয়, ‘কেন্দ্রের মধ্যে কেন্দ্র’ দ্বারা। এই ধরনের উচ্চ-কেন্দ্রীকরণ আমাদের পিছনে ঠেলে দেয়। অনেক দেরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সিইও নিয়োগের উদাহরণ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, সরকার আপন চিন্তায় মগ্ন৷ অনেক লোক নির্দেশের জন্য কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাচ্ছে না। ফলস্বরূপ, গোটা ব্যবস্থাই প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ছে।