কানপুর : পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে সেই প্রশ্নটাই সবার শেষে এল, যেটা সবার মাথায় প্রথম দিন থেকেই ঘুরছে! সেটা এই যে, মুম্বইয়ে বিরাট কোহলি দলে এলে কে বাদ যাবেন?
অজিঙ্ক রাহানে এতক্ষণ বেশ খোলামেলা মুডেই প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। এবার যেন একটু ডিফেন্সিভ। আসলে শ্রেয়স আইয়ার দুই ইনিংসে রান করে দেওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে। তবে রাহানে এই প্রশ্নের জবাবে একটু ঘুরিয়ে যা বলার বলে দিলেন। তিনি বললেন, “শ্রেয়সকে অভিনন্দন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও টি-২০’তে ভাল করার পর ওকে টেস্ট দলে আসার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর যদি মুম্বই টেস্টের দলের কথা বলেন, আমি এটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এটা ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।”
কানপুরে দুই ইনিংসেই রান পাননি রাহানে। শ্রেয়স দুই ইনিংসে রান করে দেওয়ার পর আঙুল উঠছে রাহানের দিকেই। তবে আরও একটা সমাধান সূত্র বাতাসে ভাসছে। সেটা এই যে, মায়াঙ্ককে বসিয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে ওপেনিংয়ে এনে বিরাটের জন্য একটা স্লট তৈরি করে দেওয়ার। সেসব অবশ্য পরের ব্যাপার। এদিন নাটকীয়ভাবে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর রাহানে বলছিলেন, “আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। তবে নিউজিল্যান্ড গোটা দিন ভাল খেলেছে। আমরা বরং পরের দিকে ম্যাচে ফিরেছি। কিন্তু ওই যে বললাম, চেষ্টা করেও ম্যাচের ফল নিজেদের দিকে আনতে পারিনি।”
আরও পড়ুন : ইস্টবেঙ্গলের দল নামাতে চাই সঠিক স্ট্র্যাটেজিও
মাত্র একটা উইকেটই ফেলতে বাকি ছিল ভারতের। কিন্তু রচিন আর আজাজ মিলে গোটা পঞ্চাশেক বল উইকেটে কাটিয়ে দিয়ে ভারতের সম্ভাব্য জয়ে কাঁটা ফেলে দেন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাহানে একটু দেরিতে ইনিংস ছেড়েছেন? দেখা গেল ভারতের স্টান্ড ইন ক্যাপ্টেন এতে সহমত পোষণ করছেন না। রাহানে পাল্টা বললেন, “আমাদের তখন কিছু রান দরকার ছিল। ঋদ্ধিমান আর অক্ষর সেই কাজটাই করে যাচ্ছিল। আমাদের প্রথম থেকেই মাথায় ছিল যে দিনের শেষে ওদের অন্তত চার-পাঁচ ওভার খেলতে দেব। সেটাই হয়েছে। কিন্তু জিততে পারলাম না।”
শেষদিকে রাহানেকে দেখা যায় বারবার আম্পায়ার নীতিন মেননের সঙ্গে কথা বলছেন। কী কথা হল? রাহানে বললেন, “কথা হচ্ছিল লাইট নিয়ে। এরকম হতেই পারে। আম্পায়াররা ঠিক কাজই করেছেন।” পরের টেস্ট মুম্বইয়ে ৩-৭ ডিসেম্বর। রাহানের মতো এই সিরিজের ভাগ্য ঝুলে থাকল সেখানেও!