নেতাজিকে নিয়ে রাহুলের আপত্তিকর পোস্ট, তীব্র সমালোচনা তৃণমূলের

Must read

প্রতিবেদন: নেতাজিকে (Netaji Subhas Chandra Bose) নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিভ্রান্তিকর পোস্টকে কেন্দ্র করে ঝড় উঠেছে নিন্দা আর সমালোচনার। তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। অর্বাচীন মন্তব্য করে নেতাজিকে অপমানের অভিযোগ উঠেছে লোকসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। রাহুলের পোস্টের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। দাবি তুলেছে রাহুলের বক্তব্য সংশোধনের। নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন রাহুল। আশ্চর্যের বিষয়, রাহুলের পোস্টে নেতাজির ছবির নীচে জন্মতারিখের পাশাপাশি লেখা রয়েছে ‘মৃত্যুর তারিখ’। মৃত্যুদিন হিসেবে দেখানো হয়েছে ১৯৪৫এর ১৮ অগাস্ট। এই নিয়েই তীব্র বিতর্ক। কারণ, তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর তথাকথিত বিতর্কিত তত্ত্বকেই এর মধ্যে দিয়ে সমর্থন করেছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু কোনও কমিশনই ওই তথাকথিত বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, রাহুল তাহলে কোন যুক্তিতে এমন অর্বাচীন মন্তব্য করলেন? লক্ষণীয়, এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেও নেতাজি জয়ন্তীতে এমন বিভ্রাট বাধিয়ে তুমুল বিতর্ক আর তীব্র সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়েছিলেন রাহুল।

আরও পড়ুন- বিনোদিনীতে উচ্ছ্বসিত দর্শক, আপ্লুত অভিনেত্রী

বৃহস্পতিবারও রাহুলের আপত্তিকর মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, নেতাজি সম্পর্কে ব্যবহার করা হয় অন্তর্ধান রহস্য কথাটা। তাইহোকুতে কোনও বিমান দুর্ঘটনা ওইদিন আদৌ ঘটেছিল কিনা, তার কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু অকথিত রয়ে গিয়েছে এর পরের অনেকটা ঘটনা। সেই কারণেই ১৯৪৫এর ১৮ অগাস্ট নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) মৃত্যুদিন বলে দেওয়া কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। তৃণমূল মনে করে, রাহুল গান্ধীর উচিত নিজের বক্তব্য সংশোধন করা। সাধারণ সম্পাদকের যুক্তি, নেতাজি আসলে ভারতের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। কারণ, ১৯৪৩ সালে যে প্রথম আজাদ হিন্দ সরকার তৈরি হয়েছিল, তারই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি। সেই সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ৬টি দেশ। সেই কারণেই নেতাজির মতো ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর তারিখ কোনওভাবেই কোনও প্রমাণ ছাড়া এভাবে ঘোষণা করা যায় না। এটা মানবে না বাংলা এবং বাঙালি। সবমিলিয়ে নেতাজিকে নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে রীতিমতো কোনঠাসা রাহুল।

Latest article