অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে একচালার একই কাঠামোতে পুজিত (durga puja) হন দেবী। ৫০০ বছর ধরে চলে আসেছে একই রীতি। সময়ের স্রোতে কাঠামোর কিছু জায়গা নষ্ট হওয়ায় হয়ত নতুন কিছু কাঠ দিয়ে কাঠামো সংস্কার করা হয়েছে। দেবী দুর্গা , লক্ষ্মী , সরস্বতী , কার্তিক গণেশের রঙ এক রাখা হয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের বন্দর আদি দুর্গা মন্দির। এই এলাকাতেই এক সময় গড়ে উঠেছিলো জেলার বানিজ্য কেন্দ্র। পুজোর প্রচলন নিয়ে শোনা যায় নানান কাহিনী। একসময় কুলিক নদীর তীরে বানিজ্য করতে আসতেন সওদাগরেরা। তারাই এখানে পুজোর প্রচলন করেছিলেন। আবার কেউ কেউ বলেন পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে কোনো এক সাধক এখানে এসে কালিবাড়ি ও দুর্গাবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় সাড়ে ৫০০ বছরের বেশী প্রাচীন এই পুজোয় (durga puja) আজও সকলে সামিল হন নিয়মনিষ্ঠা এক রেখে। প্রচলিত আছে এখানে বিজয়া দশমীর পরদিন দেবীর বিসর্জন দেওয়া হয় কাঁধে করে নিয়ে। কিন্তু আজ সময় পরিবর্তনে নদী থেকে অনেকটাই সরে গেছে মন্দির। গড়ে উঠেছে জনবসতি। তাই গাড়ি করেই বিসর্জনে যাওয়া হয়। পুজোর কটা দিন বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই মন্দিরে। বর্তমান প্রজন্ম পুরোনো রীতি মেনে আজও সেই নিয়ম নিষ্ঠায় পুজো করে আসছেন । শুধুমাত্র রায়গঞ্জ বা রাজ্য নয়, জাগ্রত দেবীর এই পুজোর টানে ছুটে আসেন ভিন রাজ্যের মানুষেরাও। মন্দিরের নামে জায়গার নাম আজও রাইগঞ্জ লেখা হয়। জানা যায় প্রাচীন কাল থেকেই রাইগঞ্জ লেখা হয়েছিলো। বড়দের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও বন্দর দুর্গা বাড়ির পুজো ঘিরে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন-লজিস্টিককে শিল্পের মর্যাদা, নতুন কর্মসংস্থানের আশা রাজ্যে