সংবাদদাতা, আসানসোল : দিন সাতেক আগে আসানসোলে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে যান, পুনর্বাসন না দিয়ে রেল কাউকে উচ্ছেদ করলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। হুঁশিয়ারি দেন, গরিব মানুষকে বেঘর করা হলে ফল ভুগতে হবে মোদি সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পরও পুনর্বাসন ছাড়াই ফের রেল কর্তৃপক্ষ চরম অমানবিকভাবে সোমবার গরিব মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল রেলশহর চিত্তরঞ্জনে। তাদের জমিতে যেসব দোকান বা ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছিল রেল সেগুলি ভাঙার নোটিশ দেওয়ার পরই এলাকার বিধায়ক ও আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় আইএনটিটিইউসি প্রতিনিধিদের নিয়ে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন-এবার নবান্নে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি
তার পরই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রেল আশ্বাস দিয়েছে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরবাড়ি বা দোকান করে আছেন তাঁদের উচ্ছেদ করা হবে না। তবে নতুন করে কেউ কিছু নির্মাণ করতে পারবেন না। কিন্তু সোমবার সকালেই চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সুরক্ষা বাহিনী-সহ জেসিবি মেশিন ও বুলডোজার নিয়ে পৌঁছে যায় ৮ নম্বর এলাকার ২৬ বি রাস্তায় রেল আবাসনের পিছনে দীর্ঘদিন ধরে থাকা মাটির বাড়িগুলি ভাঙার উদ্দেশ্যে। তাদের দাবি, ২০০৯-১০ পর্যন্ত একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়। এ বছর ১ জুলাই নোটিশ দিয়ে বলা হয় ৩ তারিখের মধ্যেই নির্মাণ ভাঙতে হবে। সোমবারই চলল বুলডোজার। ঘটনাটি জানামাত্র বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না। রেল শুনল না। রাজনৈতিকভাবেই এর মোকাবিলা করব।’’