সংবাদদাতা, রামপুরহাট : ফের রেলওয়ের যাত্রী নিরাপত্তায় গলদ ধরা পড়ল। বীরভূমে ফেলে দেওয়া হল ত্রিপুরার বাসিন্দাকে। এই নিয়ে পাঁচ মাসে তিনবার চলন্ত ট্রেন থেকে যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটল বীরভূমে। বৃহস্পতিবার ট্রেন লাইনের ধারে পড়ে থাকা যাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন এলাকার মানুষ। তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন-নিশীথের বাড়ি ঘেরাওয়ে ২৫ হাজার কর্মী
নলহাটি থানার কাদিরপুর গ্রামের ঘটনা। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম শিপুল নাথ। বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার পুরানো রাজবাড়ি থানার তেবাড়িয়া গ্রামে। চার বন্ধু মিলে ট্রেনে আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে বচসা হয়। শিপুলকে মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কাদিরপুর গ্রামের লোকজন রক্তাক্ত যুবককে দেখে থানায় খবর দেন। নলহাটি থানার পুলিশ উদ্ধার করে রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। আহত শিপুল বলেন, চারজন বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলাম। রাস্তায় কয়েকজন আমাদের কাছ থেকে সব কেড়ে নেয়। পালাতে গেলে আমাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। বাকি তিনজনের কী হয়েছে জানি না।
আরও পড়ুন-টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে চাই: পূজারা
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৫ অক্টোবর হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সজল শেখ নামে এক যাত্রীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। রাতে তারাপীঠ স্টেশনের কাছ থেকে তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট জিআরপি। এরপর গত ২১ জানুয়ারি রামপুরহাট সংলগ্ন দাদপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি ইদেল শেখকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। সঙ্গী শ্যালক নেকবার শেখের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করে রামপুরহাট জিআরপি। আহত ইদেল শেখকে ওড়িশার কটক থেকে উদ্ধার করা হয়। আবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বীরভূমে। ভারতীয় রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদের ফলে বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটে চলেছে বলে রেলযাত্রীদের বক্তব্য। কিন্তু রেলের তরফে যাত্রীদের এই নিরাপত্তাহীনতার জন্য কোনও যথোপযু্ক্ত উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না।