প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের ফের অবিচার। রেলের বাধায় থমকে দাঁড়াল কলকাতা পুরসভার পাম্পিং স্টেশনের কাজ। কারণ, জমির লিজকে কেন্দ্র করে জটিলতা। দিনদুয়েক আগে রেলের আধিকারিকরা আরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে নির্মাণস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে পুরসভাসূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে সামনের বর্ষায় ৩ এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলজমার সমস্যা সমাধানের আশা নেই বললেই চলে। স্বাভাবিকভাবেই তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন-শিল্প-বরফ দিয়ে পানীয় বন্ধে অভিযানে পুরসভা
পুরকর্তৃপক্ষের অভিযোগ, লিজের টাকা মুকুবের আবেদন জানিয়ে ২০২০-তে রেলমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হলেও আজ পর্যন্ত তার কোনও উত্তর আসেনি। কাশীপুর, টালা, বেলগাছিয়া, দক্ষিণ দমদম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকাকে বর্ষায় জলজমা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে একটি নতুন পাম্পিং স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। বাগজোলা খালের উপচে পড়া জল যাতে জনজীবনকে ব্যাহত না করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। এরজন্য মঞ্জুর করা হয় ৩০ কোটি টাকা। লালাবাবু নিকাশি খালের কাছে উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল বছর চারেক আগে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে জরুরি হয়ে পড়ে রেলের বেশ কিছুটা জমি।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী ও সৌরভ কথা
ওই জমি রেলের কাছ থেকে লিজ হিসেবে নেয় পুরসভা। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি নাগাদ শুরু হয়ে যায় পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ। কিন্তু ৪ বছরে সেই কাজ অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পরে আপত্তি জানায় রেল। তাদের বক্তব্য, লিজ বাবদ বকেয়া টাকা মেটায়নি পুরসভা। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, শুধুমাত্র এই অজুহাতে জনস্বার্থ সম্পর্কিত এমন একটি প্রকল্প কি এভাবে বন্ধ করে দেওয়া যায়? বিশেষ করে পুরসভার পক্ষ থেকে যখন লিজের টাকা মুকুবের আবেদন জানিয়ে অনেকদিন আগেই রেলমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আসলে বাংলাকে বঞ্চনা করার লক্ষ্যই কেন্দ্রের মোদি সরকারের। ইতিমধ্যেই রেল আসানসোলের প্রাচীন স্কুলটিও বন্ধ করে দিয়েছে। একাধিক প্রকল্প ঝুলিয়ে রেখেছে রাজ্যে।