লক্ষাধিক শূন্য পদ, যাত্রী পরিষেবা নিয়ে চিন্তায় রেল

জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রেলের বিভিন্ন বিভাগে তিন লক্ষেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই গ্রুপ সি ও গেজেটেড আধিকারিকদের পদ।

Must read

প্রতিবেদন : কর্মীর এতটাই অভাব যে, রেলের বিভিন্ন পরিষেবা কার্যত শিকেয় উঠেছে। রক্ষণাবেক্ষণের মতো রেলের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিও ঠিকমতো হচ্ছে না। কর্মী- সংখ্যা অত্যন্ত কমে যাওয়ায় বর্তমানে যাঁরা কর্মরত রয়েছেন তাঁদের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এর ফলে রেলকর্মীরা প্রবল ক্ষুব্ধ। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রেলের বিভিন্ন বিভাগে তিন লক্ষেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই গ্রুপ সি ও গেজেটেড আধিকারিকদের পদ।

আরও পড়ুন-জেএনইউ চত্বরে ধরনা দিলেই দিতে হবে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

তথ্য জানার অধিকার আইনে করা এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দিয়েছে ভারতীয় রেল। রেলের জবাব থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশের প্রতিটি জোনে বহু পদ শূন্য রয়েছে। কর্মীর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। গ্রুপ সি-তে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৪৩৮টি পদ ফাঁকা রয়েছে। অন্যদিকে ১৮,৮৮১টি গেজেটেড আধিকারিকদের পদ ফাঁকা আছে। গ্রুপ সি-তে পয়েন্টসম্যান, সিগন্যালিং কর্মী, ট্র্যাকপার্সনের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক নেই। এর ফলে প্রতিদিনের রেল চলাচলের সময়ে ভয়ঙ্কর সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে অফিস টাইমে।

আরও পড়ুন-হাথরস গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত মাত্র ১, মু​ক্তি পেল​ ৩

রেলকর্মীরা অনেকেই কেন্দ্রের মানসিকতাকেই এর জন্য দায়ী করেছেন। তাঁরা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি সরকার বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ না করায় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কোনও বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কর্মীর অভাবে তা হচ্ছে না। মানবসম্পদের অভাবে দৈনন্দিন কাজগুলিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। কিন্তু সরকারের নিয়োগ করার কোনও পরিকল্পনাই নেই। বরং রেলকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। বহু রেলকর্মী অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ডবল শিফটে কাজ করতে হয়। এর ফলে তাঁরা বিশ্রাম পান না। অত্যন্ত ক্লান্ত শরীরে তাঁদের কাজে যোগ দিতে হয়। যা অত্যন্ত ঝুঁকির বিষয়।

Latest article