লাহোর, ২৮ ফেব্রুয়ারি : পাকিস্তানে আরও একটি ম্যাচ বাতিল হল বৃষ্টিতে। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠল অস্ট্রেলিয়া। ভারত ও নিউজিল্যান্ড আগেই শেষ চারে জায়গা করেছে। লড়াই এখন দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের। তবে অসম লড়াই। তেম্বা বাভুমাদের চারের রাস্তাও মোটামুটি পাকা।
ম্যাথু শর্টকে (২০) ৪৪ রানে হারিয়েও অস্ট্রেলিয়া সামলে নেয় ট্রাভিস হেড (৫৯ নট আউট) ও স্টিভ স্মিথের (১৯ নট আউট) সৌজন্যে। দু’জনে দলকে টেনে নিয়ে যান ১০৯-তে। কিন্তু এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। আর তাতে চাপ বাড়ল আফগানিস্তানের। ভেজা মাঠে আর খেলা না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগিতে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে চলে গেল। শনিবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ। ইংল্যান্ড যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০০-র বেশি রানে হারাতে পারে, তাহলে রশিদ খানরা সেমিফাইনালে যেতে পারবেন। আর দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে তারা উঠে যাবে সেমিফাইনালে।
আরও পড়ুন-আরজি কর : দেখাই করলেন না, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, ক্ষুব্ধ বাবা-মা
গুরবাজকে (০) যখন স্পেনসার জনসন ফেরত পাঠান, তখন রান ৩। সেটা ম্যাচের পঞ্চম বল। আফগানিস্তান আগে ব্যাট নেওয়ার পর এটা তাদের জন্য ছিল ধাক্কা। কিন্তু জাদরান (২২) আর সিদিকুল্লাহ অটল (৮৫) মিলে তোলেন ৬৭ রান। সিদিকুল্লাহ ৯৫ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন।
আফগানিস্তান ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অসাধারণ জয় পেয়েছিল। ওই জয়ের পর একটা প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছে। মাঝখানে ওমরজাই ৬৩ বলে ৬৭ রান করে ইনিংসকে এগিয়ে দেন। এছাড়া রশিদ খান ১৯ ও অধিনায়ক শাহিদির ২০ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়া বড় সমস্যায় পড়েছে কামিন্স, স্টার্ক, হ্যাজলউডদের না পেয়ে। এমনকী অলরাউন্ডার মার্শও নেই এই দলে। শেষমুহূর্তে একদিনের ক্রিকেট থেকে সরে গিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিসও। এতে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং দুর্বল হয়েছে। জাম্পা ও ম্যাক্সওয়েল ছাড়া বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই দলের বোলারদের। আফগানিস্তান এই সুবিধা নিয়ে ৫০ ওভারে ২৭৩ রান করেছিল। ৩টি উইকেট ডারসুইসের। ২টি উইকেট জনসন ও জাম্পার। তবে বড় রান করেও লাভ হয়নি আফগানিস্তানের।