প্রতিবেদন : রাজ্যে এখনও ভয়াবহ বন্যাপরিস্থিতি অব্যাহত। ডিভিসির ছাড়া জলে গত ২ সপ্তাহ ধরেই ভাসছে বাংলা। জলমগ্ন রাজ্যের দক্ষিণের বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। কিন্তু এই দুর্যোগের মধ্যেও জল ছাড়া বন্ধ করেনি ডিভিসি। বুধ-বৃহস্পতির পর শুক্রবার সকালেও ডিভিসির তিন জলাধার থেকে কয়েক হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ মাইথন থেকে ৬ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্যাকবলিত রাজ্যবাসীর কোনওরকম তোয়াক্কা না করে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও বিপুল পরিমাণে জল ছেড়েছে ডিভিসি। পুরনো জলই এখনও পুরোপুরি নামেনি। তার মধ্যেই ডিভিসির এই নতুন করে ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ানক আকার নিয়েছে। হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের উঁচু এলাকাগুলি থেকে জল কিছুটা নামলেও বেশিরভাগ অঞ্চলই জলমগ্ন।
আরও পড়ুন-ভাল মানুষ, খারাপ মানুষ
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার দাসপুর, চন্দ্রকোনা, মেদিনীপুর সদর মহকুমার কেশপুর, খড়্গপুর মহকুমার ডেবরা অঞ্চলের বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। গোটা জেলায় ১১৪টি ত্রাণশিবিরে রাখা হচ্ছে কয়েক হাজার দুর্গতদের। হাওড়ার আমতাতেও এখনও বহু এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। ত্রাণশিবিরগুলি খোলা রয়েছে। হুগলিতেও খানাকুল, গোঘাট, পুরশুড়া এবং তারকেশ্বরের কয়েকটি এলাকা থেকে জল নামলেও এখনও জলমগ্ন বহু গ্রাম। জল নেমে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পুজো গড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেই ডিভিসির নতুন করে জল ছাড়ায় নতুন করে বন্যাপরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। যেসব এলাকায় জল নামছে, সেখানে আবার জলবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে ব্লিচিং পাউডার, ফিনাইল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আশাকর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নৌকো, ডিঙিতে চেপে কোথাও কেউ অসুস্থ রয়েছেন কি না, সেই খবর নিচ্ছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে ওষুধও বিলি করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।