সোমনাথ বিশ্বাস: একুশ মানে মমতা। আর একুশ মানেই আবেগ। ১৯৯৪ সাল থেকে শ্রদ্ধায়-সম্মানে এই দিনটি পালন করে আসছেন বাংলার বর্তমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার একুশ জুলাই মানেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই একুশ জুলাই দুপুরে তিলোত্তমার বুকে নামল ঝেপে বৃষ্টি। যখন শহরের সব পথ মিশেছে ধর্মতলায়। জন সুনামির মধ্যেই তখন শুরু হয়ে গিয়েছে সভার কর্মসূচি। একে একে বক্তৃতা দিচ্ছেন নেতা-নেত্রীরা। যদিও একুশের এই বৃষ্টিকে শুভ বলেই মানা হয় তৃণমূল পরিবারে।
আরও পড়ুন-ফাইনালে অন্নু রানি, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ
এদিকে কালীঘাটের বাড়ি থেকে তখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দিয়ে ধর্মতলার সভা মঞ্চের দিকে। তখনও চারিদিক কার্যত কালো মেঘে ঢাকা। ভরা বর্ষায় ব্যাপক বৃষ্টি। তার মাঝেই এগিয়ে চলেছে নেত্রীর কনভয়।
অদ্ভুতভাবে ভরা বর্ষার মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো ওঠার আগে থেমে গেল সেই প্রবল বৃষ্টি৷ যদিও তখনও কাটেনি।মেঘলা আকাশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুরুর আগে একুশের মঞ্চে সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাইলেন তাঁর সেই অন্যতম কালজয়ী গান “তুমি আসবে বলে আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি এখনও হয়নি…/…তুমি আসবে বলে দেশটা এখনও গুজরাত হয়ে যায়নি।” তখন মঞ্চে সবেমাত্র পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যি কথা বলতে কী, নচিকেতার অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গানের প্রায় প্রতিটি লাইনের সঙ্গে মিলে গেল সভার পরিবেশের৷ কাকতালীয় হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে ওঠার পরই একেবারে উধাও হল বৃষ্টি!
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই আমি এই জায়গায়: বীরবাহা হাঁসদা
এদিন বক্তব্যের একটি অংশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তিনি মঞ্চে উঠতেই বৃষ্টি থেমে যাওয়া তুলে ধরেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরেও মঞ্চে ওঠার আগে বৃষ্টি থেমে যাওয়াটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। রাস্তায় আসতে আসতে তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, যাতে বৃষ্টি কমে যায়। দূর দূর থেকে মানুষ এসেছেন, তাই বৃষ্টি যেন সভা নষ্ট করতে না পারে। তবে বৃষ্টি সবসময় তৃণমূলের জন্য যে শুভ, সেটাও জানাতে ভোলেননি তৃণমূল নেত্রী।