প্রতিবেদন : বর্ষা আসার আগেই নিম্নচাপ-কাঁটা (Rainfall)! ওড়িশা-লাগোয়া উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়েছে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি বাড়িয়ে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর ধীরে ধীরে এগোবে উত্তর ওড়িশা উপকূলের দিকে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার থেকেই রাজ্যের দক্ষিণে উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির জন্য কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে। নিম্নচাপ ও অমাবস্যার ভরা কোটালের জেরে শনিবার পর্যন্ত উত্তাল সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্য। উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ত্রাণশিবিরগুলিতে চলছে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি। দিঘা, মন্দারমণি কিংবা সাগর এলাকায় মাইকিং করে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাগর ব্লকের বিডিও কানাইয়াকুমার রায় জানাচ্ছেন, ত্রাণ শিবিরগুলিতে শুকনো খাবার, পর্যাপ্ত পানীয় জল মজুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং প্রশাসন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণের ১০ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি-ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া। শুক্রবার ভারী থেকে অতি-ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণের সব জেলায়। কলকাতায় ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারও বীরভূম-মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূলে ঝড়ের গতিবেগ ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন- বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে চিঠি, জোটবদ্ধ প্রস্তুতিতে কৌশলী তৃণমূল