বিজেপির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে বাংলা জুড়ে শান্তি ও সৌহার্দের রামনবমী

বাংলা জুড়ে পালিত হল সৌহার্দের রামনবমী। নির্বিঘ্নে ও শান্তিতে রামনবমীর মিছিল থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস

Must read

প্রতিবেদন : রামনবমীকে কেন্দ্র করে বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক করেছিল বিজেপি। প্ররোচনা ছিল সর্বত্র। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় ব্যর্থ হল বিজেপির সমস্ত চক্রান্ত। বাংলা জুড়ে পালিত হল সৌহার্দের রামনবমী। নির্বিঘ্নে ও শান্তিতে রামনবমীর মিছিল থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। মহানগর কলকাতা থেকে জেলায় সম্প্রীতির মিছিল ও শোভাযাত্রায় ছিল উৎসবের আমেজ। বাংলা চিরন্তন সম্প্রীতির পীঠস্থান। সেই বার্তা ছড়িয়ে রামনবমীতে ময়দানে হাজির হন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক ও নেতারা। সর্বত্রই পুলিশের নজরদারি ছিল কড়া। নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখা হয়নি। প্রতিটি মিছিল ক্ষেত্রেই পুলিশ মোতায়েন ছিল।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

বিজেপিকে অশান্তি ছড়ানোর কোনও জায়গাই দেয়নি পুলিশ। নির্বিঘ্নে মিছিল ও শোভাযাত্রা হয়েছে। এদিন উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির সামনে থেকে শুরু হয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের শোভাযাত্রা। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ মজিদের উদ্যোগে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে ওই মিছিল শেষ হয় স্বামী বিবেকানন্দর সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে গিয়ে। সর্বধর্ম সমন্বয়ের এই মিছিলে মুসলিমরা যেমন ছিলেন, তেমনই হনুমান মন্দিরের পুরোহিতরাও ছিলেন। মালদহে শ্রীরামচন্দ্রকে সামনে রেখে চলা বর্ণময় শোভাযাত্রায় পুষ্পবৃষ্টি করেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা। তাঁরা মিষ্টিমুখ করান। রামের মিছিলে মিলে যান রহিমরা। সংহতি ও সম্প্রীতির বর্ণময় ছবি দেখা যায় হাওড়ার সালকিয়া, হুগলির শ্রীরামপুর, চাঁপদানি থেকে শুরু করে বীরভূমের সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। এমন বাংলার এই সংস্কৃতি ও কৃষ্টির কথা উল্লেখ করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রীতি ও সংহতির ধারা বজায় রাখার আবেদন জানান রামনবমীর শুভেচ্ছাবার্তায়। হাওড়ার সালকিয়ায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। রামপুরহাটে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সিউড়িতে মিছিল করেন সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। উৎসবের মিছিলে ছিলেন কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা৷ বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখও রামনবমীর সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিছিলে অংশ নেন। বোলপুরে রামনবমীর মিছিলে হাঁটেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। শ্রীরামপুরে হনুমান মন্দিরে পুজো দেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁপদানিতেও রামনবমীর উৎসবে অংশ নেন তিনি।
এদিন সর্বত্র নিরাপত্তার আয়োজনে শীর্ষ পদাধিকারী ও অফিসারদের নেতৃত্বে বিশাল সংখ্যক পুলিশ রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছিল। বিজেপি তাই প্ররোচনা দিয়েও কোনও অশান্তি পাকাতে পারেনি। হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাওড়া, আসানসোল, বারাসত, বহরমপুরে হাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলেও মানুষ কার্যত তা উপেক্ষা করেছে। বাংলা সব উসকানি উড়িয়ে রামনবমী নিয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ে ঐক্য ও মিলনমেলার চিরন্তন ধারা বজায় রাখল। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ফের একবার বাংলাজুড়ে ধ্বনিত হল— ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

Latest article